পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

ডিএসইতে কমেছে গড় লেনদেন : সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার পর্যালোচনা

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সমাপ্ত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। কমেছে পুঁজিবাজারের মূলধন। লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। তবে মোট লেনদেনের ৩২ শতাংশই টপটেন বা দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন ৩গুন।
সূত্র মতে, গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর পুঁজিবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, দর কমেছে ১৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৭টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১৩টি কোম্পানির শেয়ার। গত সপ্তাহে সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৮০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৮২ দশমিক ৫০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। এদিকে সমাপ্ত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সে হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ এবং এ ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। মোট লেনদেনের ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে।
কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ লেনদেন করেছে।
এছাড়া নাভানা ফার্মার ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সি পাল বির্চের ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, রুপালী লাইফের ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ট্রাস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের (এন ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরি এন্ড ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পেপার প্রসেসিংয়ের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ২৪ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের এ ক্যাটাগরির শেয়ার বি ও জেড ক্যাটাগরির থেকে তুলনামূলক ভালো কোম্পানি। নিয়ম অনুসারে, যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের সর্বনি¤œ ১০ শতাংশ থেকে তার ঊর্ধ্বে লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই এ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নিচে থেকে শুরু করে সর্বনি¤œ ৫ শতাংশ লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারা বি-ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার।
যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নিচে থেকে শুরু জিরো লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ার। এছাড়া এন ক্যাটাগরি নতুন কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে কিন্তু বছর পার হয়নি, সেইগুলো এন ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়