পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

ডাব্বু রতœানি : বিনা পয়সায় ছবি তুলে হিট

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন দুনিয়ায় ২৫ বছর কাটিয়ে ফেললেন খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার ডাব্বু রতœানি। ফটোগ্রাফিকে পেশা করার বিষয়ে কথা বলার সময় ডাব্বু রতœানি বলেন, ‘প্রথমদিকে আমি অ্যাড ফটোগ্রাফার হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। মডেল অভিনেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য ফটোশুট করা ছিল আমার কাজ। আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল একটি ফিল্ম। সেখানে আমি একজন সহকারী ছিলাম। সে সময়ে ফটোগ্রাফিকে কেউ পেশা হিসেবে আলাদা করে ভাবতই না। তখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী- এসব পেশাকেই সম্মানীয় পেশা হিসেবে মনে করা হতো। শুরুতে ফটোগ্রাফারের পেশায় কোনো সম্মান ছিল না। আর তখনই আমি এই ফটোগ্রাফিকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করি। তবে আজ এটি একটি স্বীকৃত পেশা। আমি কিন্তু কোনো দিনই নিজের পছন্দকে ছোট করে দেখিনি। আমার কাজ ছিল সেরাটা দেয়া। প্রথম দিন থেকেই এই কাজকে আমি উপভোগ করেছি।
ডাব্বু রতœানির স্বীকার, শুরুতে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ পাওয়া বেশ কঠিন ছিল। তখন তো মোবাইল, ইন্টারনেটের যুগ ছিল না। বিভিন্ন পত্রিকার জন্য আমি কাজ করতাম। ডাব্বু বলেন, ‘অতীশ ছবির শুটিং, সঞ্জয় গুপ্তা, সঞ্জয় দত্ত, রবিনা ট্যান্ডন, কারিশমা কাপুর মরিশাস যাচ্ছিলেন। সেটা ছিল ৪০ দিনের ট্যুর, আমিও ওদের সঙ্গে যোগ দিই, বলি বিনা পয়সায় ছবি তুলব। সে অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ, মরিশাসে গিয়ে সঞ্জয় দত্তের ছবি তুলি, সেগুলো পত্রিকায় বের হয়। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু।’ ডাব্বু বলেন, ‘সে সময় পত্রিকায় ছবি বেচে সামান্যই টাকা পেতাম, মূলত টাকা আসত ব্র্যান্ড শুটের মাধ্যমে। তখন টাকার থেকেও প্রতিষ্ঠা পাওয়াই ছিল আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’ ডাব্বু রতœানির কথায়, শুটিংয়ের জন্য কখনো বরফে, কখনো উত্তপ্ত মরুভূমিতেও যেতে হয়েছে, সেগুলো বেশ কঠিন ছিল। কঠিন এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ডাব্বু বলেন, ‘একবার আমার ক্যালেন্ডারের জন্য বরুণের ছবি তুলতে ওর ছবির শুটিংয়ে গিয়েছিলান। সেটা ছিল দক্ষিণ মুম্বাইয়ের হর্নিম্যান সার্কেলে। সেখানে তখন বরুণ রাস্তায় হাঁটছিলেন। পাগলের মতো জাম্পিং করছিলেন আর কিছু বাচ্চা রাস্তার মাঝখানে স্কেটবোর্ডিং করছিল। আমি ক্যামেরা বের করতেই হঠাৎ পুলিশ এসে হাজির। বরুণ আমাকে বলেছিলেন, আপনার এই ফটোশুটের জন্য একদিন আপনি আমাকে গ্রেপ্তার করিয়ে তবেই ছাড়বেন। উত্তরে মজা করে বলেছিলাম, আপনি কারাগারের পেছনে কী করবেন, সেখান থেকেও কিছু কনসেপ্ট বেরিয়ে যাবে।’

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়