পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

এ দেশে ‘পাঠান’র আয় কত!

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সব জল্পনা-কল্পনা পেরিয়ে সরকারের বিশেষ সিদ্ধান্তে অবশেষে ১২ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় বলিউডের সিনেমা ‘পাঠান’। শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহে দেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছিল। সে হিসাবে ১২ জুন ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তির এক মাস পূর্ণ করল। প্রথম সপ্তাহে ৪১ হলে রোজ ২০৬টি শো চললেও এক মাসের মাথায় চলতি সপ্তাহে সেই শোয়ের সংখ্যা নেমে আসে ৪২-এ। সেটিও এক অর্থে বিস্ময়কর। কারণ বাংলাদেশের অনেক আগেই বলিউডসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এমনকি প্রকাশ হয়েছিল আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমেও। ফলে অনেকেই ধারণা করেছিল শাহরুখ খানের এই আগমন মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে। এক মাসের শো সংখ্যা এবং ‘বক্স অফিস’র হিসাব বিবেচনায় সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। সিনেমাটি আসায় আরেকটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো বাংলাদেশে। এর মাধ্যমে ঢালিউডে প্রথমবার যুক্ত হলো বহুল কাক্সিক্ষত ‘বক্স অফিস’ কালচার। ‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তির সুবাদে দ্য কনটেন্ট স্পেশালিস্ট নামের একটি সার্ভার বা ‘বক্স অফিস’ তৈরি হয়। যার মাধ্যমে গত এক মাসে ‘পাঠান’ ছবির টিকিট বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। যেখান থেকে জানা গেছে, এক মাসে ‘পাঠান’র টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ টাকার মতো। বিষয়টি ‘পাঠান’র আমদানিকারক অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অনন্য মামুনও গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। বক্স অফিস রিপোর্টে আমদানিকারক খুশি থাকলেও খানিক অস্বস্তিও রয়েছে হলের পরিবেশ, পর্দা ও সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে। অভিযোগ আছে ভালো পরিবেশের সিনেমা হলের অভাব নিয়ে। এদিকে নতুন খবর ঈদের পরই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ঢুকবেন বলিউডের ভাইজান। এন ইউ আহমেদ ট্রেডার্সের কর্ণধার কামাল কিবরিয়া লিপু নিয়ে আসছেন সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ সিনেমাটি। ২১ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। যা এরমধ্যে বক্স অফিস আয় করেছে ১৮২ কোটি রুপি। এক মাসে ‘পাঠান’র বক্স অফিস সেল ২ কোটি ৭ লাখ টাকা হলেও ঈদের আগেই সেটি পৌঁছাবে ২ কোটি ২০ লাখে। কারণ যেহেতু ঈদে বিদেশি ছবি প্রদর্শন নিষেধ আর এখনো সিনেমাটির রোজ শো চলছে ৪২টি করে। কিন্তু এর পুরোটাই তো আর আমদানিকারকেরা পাচ্ছে না। ভাগ হবে হল মালিকদের সঙ্গে। তাতে ধারণা করা যায়, আমদানিকারক ঘরে তুলবেন ন্যূনতম ৫০ লাখ। জানা গেছে ‘পাঠান’ আমদানি করতে এর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ইয়াশ রাজ ফিল্মসকে দিতে হয়েছে মাত্র ১০ হাজার ডলার যা প্রায় ১৩ লাখ টাকা। তাহলে বলা যায়, বক্স অফিস থেকে হল মালিকদের দিয়ে ৫০ লাখ পেল ‘পাঠান’ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এক মাসে লাভ করছে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা।

:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়