সিলিন্ডার কারখানা : বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি : বাসের ই-টিকেটিং ভেস্তে গেছে, যাত্রীসেবায় এগিয়ে নগর পরিবহন

পরের সংবাদ

দেশে দেশে মা দিবস

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পালিত হয় ‘মা দিবস’। দুদিন আগে তুমিও নিশ্চয়ই মমতাময়ী মাকে অনিন্দ্য সুন্দর কার্ড কিংবা ফুল উপহার দিয়ে দিবসটি পালন করেছ। কিংবা অন্য কোনোভাবে প্রকাশ করেছ মায়ের প্রতি ভালোবাসা। তবে শুধু মা দিবসেই নয়, বছরের প্রতিটি দিনই আমরা এমনি করে ভালোবেসে যাব মাকে। মায়ের জন্য আমাদের ভালোবাসার কখনোই কমতি হবে না- এই প্রত্যয়ে চলো আজ জেনে নিই বিশ্বের বিভিন্ন
দেশে কোন দিন কীভাবে পালিত হয় দিবসটি। আর শোনো, কিছু কিছু
দেশে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন তারিখে মা দিবস পালিত হয়!
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের আনা জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জার্ভিসের উদ্যোগে বিশ্বে প্রথম মা দিবস পালিত হয়। আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সারাজীবন অনাথদের সেবায় জীবন ব্যয় করেছেন তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস। ১৯০৫ সালে মারা যান মেরি। অনাথদের জন্য তার এই নিঃস্বার্থ জীবন উৎসর্গের কথা অজানাই থেকে যায়। লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে উদ্যোগ নেন তার মেয়ে আনা জার্ভিস। সেই লক্ষ্যে মেরি জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে প্রচার শুরু করেন আনা জার্ভিস। তার সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯১৪ সালের ৮ মে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে মার্কিন কংগ্রেস। বছরের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা পরিবার এবং মায়েদের সঙ্গে দেখা করতে আসে এবং মায়ের পছন্দের ফুল উপহার দেয়।

অস্ট্রেলিয়া
মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালন করা হয়। এ দিন মায়েদের উপহার দেয়ার প্রথাটা চালু হয় এই দেশেই। এই উপহার দেয়ার পেছনেও কিন্তু একটা গল্প আছে। জেনেট হেইডেন নামে অস্ট্রেলিয়াতে এক মহিলা ছিলেন, যিনি কিনা ছিলেন ডাক্তার। তিনি একবার এক মহিলা আশ্রমে গেলেন রোগী দেখতে। সেখানে গিয়ে তিনি অনেক দুঃখী মহিলা দেখতে পেলেন, যাদের কিনা তাদের ছেলেমেয়েরা ভুলে গিয়েছে। সেসব মাকে ভালোবেসে, তাদের আনন্দ দেয়ার জন্য তিনি একটা বুদ্ধি বের করলেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিয়ে মায়েদের উপহার দেয়ালেন। ধীরে ধীরে এ উপহার দেয়াটা আরো বাড়তে লাগল।

নেপাল
মা দিবস উদযাপনের ধরনটা একদমই ভিন্ন। সেখানে একদিন নয়, দুদিন নয়, টানা ১৫ দিন চলে মায়ের জন্য উৎসব। আর এ উৎসবের নাম ‘মাতা তীর্থ অনষি’। বৈশাখ মাসের অমাবস্যার ১৫ দিন এ উৎসব চলে। মায়েদের পূজা করা হয় আর উপহার দেয়া হয় এ উৎসবে।

সুইডেন
মে মাসের শেষ রবিবার মা দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে শিশুরা প্লাস্টিকের ফুল বিক্রি করে। ফুল বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়ে মাকে নিয়ে পার্কে এবং প্রিয় রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে যায়। তারা মায়েদের হাতে ফুলও তুলে দেয় শুভেচ্ছাস্বরূপ।

জাপান
হাহা-নো-হি নামে পরিচিত এই দিনটি। দিনটিতে ছেলেমেয়েরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ভালোবাসাময় বার্তার মাধ্যমে মাকে শুভেচ্ছা জানায়। প্রত্যেকে মাকে পছন্দের ফুল উপহার দেয়।

জার্মানি
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। মাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার মাধ্যমে বেশ আনন্দে দিনটি পালিত হয়।

ফ্রান্স
মা দিবস পালিত হয় মে মাসের শেষ রবিবার। মজার বিষয় হলো, দিনটিতে সন্তানরা মায়েদের জন্য বিভিন্ন গল্প এবং কবিতা লিখে থাকে। এর মাধ্যমে তারা মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে।

তাইওয়ান
এ দেশে মা দিবস পালিত হয় গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন অনুসারে। এ কারণে দেশটিতে মা দিবস অত্যন্ত পবিত্র উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

মেক্সিকো
দিবসে মেক্সিকান মায়েরা খাবার, ফুল ও সংগীত দ্বারা সম্মানিত হন। মেক্সিকান ছেলেমেয়েরা মায়েদের উদ্দেশে লাস মানানিতাসের মতো জনপ্রিয় গান গাওয়ার জন্য মেক্সিকোর মারিয়াচি ব্যান্ডে যোগ দিয়ে থাকে।

ইথিওপিয়া
বর্ষাকালের শেষে মায়েদের সম্মানার্থে তিন দিনব্যাপী অ্যাট্রোস্থ উৎসব উদযাপন করা হয়। ইথিওপিয়ান পরিবার মায়েদের জন্য মিট হ্যাশ তৈরি করে। এর জন্য মেয়েরা শাকসবজি ও পনির আনে এবং ছেলেরা আনে মাংস।

যুগোসøাভিয়া
মা দিবস উদযাপন করা হয় ডিসেম্বরে। এছাড়া দিবসটি উদযাপনও হয় ভিন্নভাবে। শিশুরা এদিন খুব ভোরে বিছানায় উঠে মাকে বেঁধে ফেলে শক্ত করে। সন্তানকে উপহার না দেয়া পর্যন্ত এই বাঁধন থেকে মায়ের মুক্তি মেলে না।

: আহমেদ শাকিল

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়