রাজউক : মুছে যাওয়া সাড়ে ২৬ হাজার নথি উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাজারে ফের সিন্ডিকেটের থাবা! : কারসাজি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম, নজরদারি জোরদারের তাগিদ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

লক্ষ্যমাত্রার নিচে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাস (জুলাই-মার্চ) লক্ষ্যমাত্রার নিচে অবস্থান করছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি। খাতটিতে ধারাবাহিকভাবে ঋণ বিতরণ কমছে। মার্চে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। কিন্তু মার্চ শেষে এ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে। আগের মাস ফেব্রুয়ারি শেষে যা ছিল ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
আর্থিক সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এসবের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে, ডলার সংকট বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এ সংকট সমাধানে সরকার রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে। এতে রিজার্ভের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। চলতি সপ্তাহে আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে আসবে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ডে হিসাব করলে রিজার্ভের পরিমাণ আরো কমে দাঁড়াবে ২৩ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৯১ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা।
তথ্য মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগস্টে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশে। তবে সেপ্টেম্বরে ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে আবার ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ করে। বেসরকারি খাতের ঋণের এ প্রবৃদ্ধি ডিসেম্বরে আরো কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে আসে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশে এবং ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ১৪ শতাংশে। তবে এরপরের মাস মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরো কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে।
বেসরকারি খাতের ঋণের এ প্রবৃদ্ধি সাধারণভাবে দুই অঙ্কের ঘরেই থাকে। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে এর ব্যত্যয় ঘটে। ওই মাসে প্রথমবারের মতো তা নেমে যায় ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক হারে এটি কমে গত ২০২০ সালের মে মাস ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে আসে। পরের মাস জুন থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বেসরকারি খাতের ঋণের এই প্রবৃদ্ধি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবুও সংকট কাটছে না। ডলার বিক্রিসহ অন্য খাতে ব্যয় কমাতে না পারলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়বেই। এসব কারণে অর্থনীতিতে সংকট কাটছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়