কাগজ প্রতিবেদক : বিসিক ও শিল্প মালিকদের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। ট্যানারি মালিকদের নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিসিক চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান (গ্রেড-১)। এ সময় তিনি বলেন, বিভিন্ন ট্যানারি সাভারে সিইটিপি উন্নয়নে যাচ্ছে। শিল্প নগরী গড়ে তুলতে হলে সেখানে ল্যান্ড শ্রমিক, লোকেশন, ট্রান্সপোর্ট থাকবে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে শিল্প মালিকদের পরিকল্পনা মত কাজ করার উৎসাহ দিয়ে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, শিল্প উন্নয়ন হলে দেশের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বিসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিটিআই) এর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন ট্যানারি প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মরত ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা ও আগ্রহী উদ্যোক্তাদের জন্য গতকাল বুধবার একদিন ব্যাপী ‘পরিবেশের উপর ট্যানারি বর্জ্যরে প্রভাব : উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান (গ্রেড-১) এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিকের সম্মানিত পরিচালকরা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির পরিচালক ড.মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌ. মো. শফিকুল আলম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ঢাকার হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর সাভার এখন ট্যানারি শিল্পের শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ছোট-বড় চামড়া উৎপাদনের অনেক কারখানা এখানে রয়েছে। একদিকে এই বিপুল সংখ্যক চামড়ার কারখানা যেমন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে অন্যদিকে, এটি পরিবেশ দূষণের জন্য একটি বিপজ্জনক হুমকি তৈরি করছে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে চামড়া রপ্তানি করতে যথাযথ পরিবেশ ব্যাবস্থাপনা, তরল ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। কমপ্লায়েন্স ট্যানারি হতে হলে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) এর সার্টিফিকেট থাকতে হয়। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাঁচা চামড়ার ট্রিমিংগুলো ব্যবহার করে প্রোটিয়েজ এনজাইম তৈরি করা যায়। এ এনজাইম চামড়া প্রসেসিংয়ে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ক্রোম সেভিং ডাস্ট থেকে ফার্নিচার বোর্ড তৈরি করা যায়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, চামড়া শিল্প এলাকা হাইলি টরিক। ট্যানারি মালিদের সচেতন হতে হবে। কঠিন বর্জ্যগুলো কিভাবে উন্নত দেশের মত ফিনিশড প্রডাক্ট তৈরি করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করার প্রস্তাব দেন।
স্বাগত বক্তব্যে প্রকৌ. মো. শফিকুল আলম বলেন, পণ্য বা দ্রব্য যদি মানুষের জন্য ক্ষতিকর হয় তবে তা মানসম্মত হলেও কেনা যাবে না। শিল্প কারখানার কমপ্লায়েন্স মেনে না চললে শিল্পকারখানা ধ্বংস হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।