রাজউক : মুছে যাওয়া সাড়ে ২৬ হাজার নথি উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাজারে ফের সিন্ডিকেটের থাবা! : কারসাজি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম, নজরদারি জোরদারের তাগিদ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

অবণ্টিত লভ্যাংশে কারসাজি : ৫০ কোম্পানিকে নিরীক্ষার নির্দেশ

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অবণ্টিত ও পরিশোধ না হওয়া ডিভিডেন্ডের অর্থ বিনিয়োগকারীদের বারবার নির্দেশ ও সময় দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও শেয়ারবাজার স্থিতিশীল ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) জমা করেনি তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানি। সেই সঙ্গে ডিভিডেন্ডের অর্থ বিতরণে কারসাজি করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে প্রথম ধাপে তালিকাভুক্ত ৫০টি কোম্পানির নিরীক্ষার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠনে সিএমএসএফকে নির্দেশ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
স¤প্রতি এ বিষয়ে নির্দেশ ও কিছু নির্দেশনা দিয়ে সিএমএসএফের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার (সিওও) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। সিএমএসএফকে চিঠি জারির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন নিরীক্ষকদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ড বিধিমালা, ২০২১ এর বিধি অনুসারে শর্তগুলো পালন করতে সিএমএসএফকে বলা হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল চিঠিটি ইস্যু করা হয়।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিশনের একজন যোগ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। এর মধ্যে একজন সদস্যকে অবশ্যই পেশাদার নিরীক্ষক হতে হবে। এ কমিটি নিরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিতদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিএসইসিকে অবহিত করবে। কোম্পানিগুলোর কী পরিমাণ অবণ্টিত লভ্যাংশ আছে, তা যাচাই করবে নিয়োগপ্রাপ্ত নিরীক্ষকরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে লভ্যাংশের টাকা জমা দেয়নি এবং অর্থ বিতরণে কারসাজি করেছে, এমন কোম্পানির প্রতিবেদন খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সিএমএসএফের আকার দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ দাঁড়িয়েছে ৪৮৯ কোটি ১ লাখ টাকায়। ৮ কোটি ১২ লাখ শেয়ার বাবদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়। সিএমএসএফ সূত্র মতে, ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ফান্ডের মধ্যে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ২২৫ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে গোল্ডেন জুবিলি ফান্ডে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়