ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড : সাবেক পরিচালক এজাজ আহমেদ মারা গেছেন

আগের সংবাদ

সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্রের মজুত : অরক্ষিত মিয়ানমার-ভারত সীমান্ত পেরিয়ে পাহাড়ে আসছে অত্যাধুনিক অস্ত্র

পরের সংবাদ

প্রবন্ধ : চট্টগ্রামের ছড়া কবিতা ও পুঁথি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

(পূর্ব প্রকাশের পর)

ফারুক মঈনউদ্দীন। গল্পকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, ভ্রমণসাহিত্যিক, অর্থনীতিবিষয়ক লেখক, সাহিত্য সমালোচক। মার্কিন লেখক ক্লিনটন বি সিলির কবি জীবনানন্দ দাশের সাহিত্যিক জীবনী অ্যা পোয়েট অ্যাপার্ট গ্রন্থটির অনুবাদের জন্য পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি। তার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে : গল্পগ্রন্থ : বৈরী ¯্রােত, আত্মহননের প্ররোচনা, অপরিচয়ের কালবেলা, সেইসব শেয়ালেরা, মোহিনী মুম্বাই, নির্ঘুম নিউইয়র্ক, কনিয়ান সাফারি: মাসাই মারার প্রান্তরে, সিংহল সমুদ্র থেকে মালয় সাগরে, সীমান্তহীন ইউরোপের প্রান্তদেশে, বিশ্বজোড়া অনন্ত অঙ্গনে, সুদূরের অদূর দুয়ার, শিকার: কেনজাবুরো ওয়ে, আর্নেস্ট হেমিংওয়ের প্যারিসের স্মৃতিকথা, অনন্য জীবনানন্দ: ক্লিনটন বি সিলি, চলমান ভোজের শহর: আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, দৌড় বিষয়ে যত কথা: হারুকি মুরাকামি, দূর ভুবনের পাড়ে, মৃত্যুর আগে জীবনের সংগীত প্রভৃতি।
ফারুক হাসান (১৯৬০)। কবি, ছড়াকার, গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: রোদেলা দুপুরে, আকাশ ছুঁয়ে দেখি।
ফাহমিদা আমিন (১৯৩৬-২০১৮)। ছড়াকার, গল্পকার, রম্যসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: নিম মধু, অনিবার্য কারণবশত, একান্ত আপন, মনের আঙ্গিনায়, কুট্টি বিবির আসর, মোটামুটি সংবাদ, প্রজাপতি রং ছড়ায় (কিশোর উপন্যাস), সৌরভ (শিশুসাহিত্য সংকলন), বর্ষবাণী, স্মৃতিতে প্রীতিতে-ডা. মজহারুল হক, দাদুর চিঠি বার্মিং হাম থেকে লিখছি, শুধু দিন যাপনের, মৌ ঝুর ঝুর, ইসলামের পাঁচ রোকন-পাঁচ উৎসব, ঝালে ঝোলে অম্বলে।
ফুয়াদ হাসান। কবি। তার প্রকাশিত বই : কাঁটা তারে কারাগারে
ফেরদৌস আরা আলীম (১৯৪৮)। কবি, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্প: হনন সুখ, কালো জল সাদা ফেনা, যতদিন আছে চন্দ্রসূর্য, প্রবন্ধ: কোথাও নতুন দিন।
ফেরদৌস আরা রীনু (১৯৭০)। কবি, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘সমাজচিন্তা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়-আশয়’ ও ‘নৈতিকশিক্ষা, মূল্যবোধ ও অন্যান্য’।
বদরুননেসা সাজু। কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, সমালোচক ও গবেষক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : পাদপ্রদীপের আলোয়, মদিরা, শব্দহীন রাতের শব্দ, চিরন্তন পথিকৃৎ, নিসর্গ আলোর ঠিকানা, নারী জাগে কর্মযজ্ঞে আনন্দে, মরমী গান সাধক পুরুষ ও অন্যান্য।
বনশ্রী বড়–য়া। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : শ্রাবণের ওষ্ঠে রাখি হাত।
ববি বড়–য়া। প্রাবন্ধিক, কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি, উন্নয়ন ও অন্যান্য বাদল বড়–য়া (১৯৪৭-২০১৪)। কবি, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: অন্য এক নামে, মায়ের চিঠি, দীর্ঘ নিকায়, মহাজীবন।
বাদল সৈয়দ (১৯৬৮)। কবি ও কথাসাহিত্যক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : জন্মজয়, রোজাবেল মা তোকে বলছি, স্বপ্নডানা : আকাশ ছোঁয়ার গল্প, দ্বিতীয় যৌবন, আমার মুক্তি ওই আকাশে, আমার বিশ্বাসগুলো, সাধুসঙ্গ, মাটির পিঞ্জিরার মাঝে, বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে, ছায়া সন্ধান, কালো সিংহ, আকাশে অনেক মুখ, সাক্ষী ছিল পক্ষী সকল প্রভৃতি।
বাসুদেব খাস্তগীর। কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত বই : আকাশ হতাম যদি, কবিতায় ইতিহাস কবিতায় মুজিব (ইতিহাস আশ্রিত কবিতা), শত পঙক্তিতে অঙ্কিত মুজিব (বঙ্গবন্ধু মুজিবকে নিয়ে শত লাইনের কবিতা), ফুলপরিদের দেশে ইশকুল নেই, ছড়ায় ছড়ায় সা রে গা মা (শিশুতোষ ছড়া গানের বই), ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অন্যান্য প্রবন্ধ।
বাহারুল হক লিটন (১৯৬১)। কবি, ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: যুদ্ধ অন্যরকম (২০০০), হাসু মামার মেলা দর্শন (২০০০)।
বিকাশ মজুমদার (১৯৬৩)। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: নিথর মধ্যাহ্নে বৃক্ষরা অশরীরী, নৈঃশব্দ্যে নিশ্চিহ্ন পদধ্বনি।
বিচিত্রা সেন (১৯৭০)। কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : অন্যরকম গল্প, নীল খাম, চোখের আলো, অনামিকার অহর্নিশি, জাগিয়া উঠিল প্রাণ।
বিজন মজুমদার (১৯৬০)। কবি, চিত্রশিল্পী। তার প্রকাশিত বই : ‘নিয়ত শরশয্যা’ ও ভুলে গেছি সূর্য স্নান’।
বিপুল বড়–য়া (১৯৫২)। ছড়াকার, গল্পকার, শিশুসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : নীলক্ষেতের দুপুর, নোটন নোটন, জেম সাহেবের বেল, বুবুন ও পরির গল্প।
বিপ্রদাশ বড়–য়া (১৯৪০)। শক্তিমান কথাসাহিত্যিক, কবি। সমকালীন সাহিত্যে অত্যন্ত সচল সক্রিয় লেখক। নিসর্গবিদ। ‘প্রকৃতির টানে তিনি ঘুরে বেড়ান দেশময়। ভালোবাসেন দেশের মাটি, মানুষের কাছে যেতে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন নিসর্গ-প্রকৃতি, পাখি ও জীব-জগৎ আর মানুষ। ব্যক্তিমানুষ, সামাজিক সত্তা, তার জীবনযাত্রা, হর্ষ, আনন্দ, বিষাদ সব মিলিয়েই তার সংগ্রাম, সংগ্রাম প্রকৃতি রক্ষার।’ তিনি গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন, লিখেছেন শিশুতোষ গল্প-উপন্যাস ও কবিতা। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্প: সাদা কফিন, যুদ্ধজয়ের গল্প, গাঙচিল, নদীর নাম গণতন্ত্র, বীরাঙ্গনার প্রেম, উল্কি একটি প্রেমের গল্প, স্বপ্ন মিছিল, আকাশের প্রেমের বাদল, স্বপ্ন সমুদ্রে বনদেবীরা আছে, নির্বাচিত প্রেমের গল্প, আমি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করি, স্বপ্নসুন্দরী, অলৌকিক চুম্বন, আমি একটি স্বপ্ন কিনেছিলাম, ফিরে তাকাতেই দেখি বঙ্গবন্ধু; উপন্যাস: অচেনা, ভয় ভালোবাসা নির্বাসন, সমুদ্রচর ও বিদ্রোহীরা, মুক্তিযোদ্ধারা, ভেতরে একজন কাঁদে, শ্রামণ গৌতম, আমি তোমার কাছে সমুদ্রের একটি ঢেউ জমা রেখেছি; প্রবন্ধ: কবিতায় বাকপ্রতিমা, গৌতম বুদ্ধ, দেশকাল ও জীবন (যৌথ), দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ, গাছপালা তর”লতা; কিশোর গল্প: সূর্য লুঠের গান, তাঁতি ও ঘোড়ার ডিম, আরব্য রজনী, মুক্তিযোদ্ধার গল্প, সোহরাব রুস্তম, বাঘের উপর টাগ, অজগর রাজা, গ্রাম বাংলার সেরা হাসির গল্প, ডাকাত ডাকাত, রক্তঝরা রণ, জাদুর বাঁশি; কিশোর উপন্যাস: রোবট ও ফুল ফোটানোর রহস্য, জাদুমানিক স্বাধীনতা, নোভায়া জেমলায়ার বিভীষিকা, দৈত্য পাহাড়ের ক্ষুদে মানুষ, প্রকৃতি বিষয়ক: কাছের পাখি দূরের পাখি, সাত সমুদ্র তেরো নদী, সমুদ্র, নদী মেখলা জীবনী: বিদ্যাসাগর, বাংলাদেশ, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, নাটক: কুমড়োলতা ও পাখি।
বিভা ইন্দু। কবি ও গল্পকার। তার প্রকাশিত বই : এক চিলতে রোদের ডানা, সিঁথির যত কথা, ভূতের বিয়ে, ছুটির দিনে বনবাদাড়ে।
বিমল গুহ (১৯৫২)। ‘আত্মসচেতন ও সমাজসচেতন কবি’ হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারী কাব্য সাধক বিমল গুহ আধুনিক কবিতার বিশাল অস্তিত্বের সঙ্গে শুধু সম্পৃক্ত নন, তিনি শিশু-কিশোর কবিতার মুক্তাঙ্গনেও ঘুড়ির মেলা বসিয়েছেন সনিষ্ঠ আন্তরিকতায়।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ : কাব্য: অহংকার তোমার শব্দ, সাঁকো পার হলে খোলাপথ, স্বপ্নে জ্বলে শর্তহীন ভোর, বিমলগুহের ভালবাসার কবিতা, নষ্ট মানুষ ও অন্যান্য কবিতা, ঝবষবপঃবফ চড়বসং. প্রতিবাদী শব্দের মিছিল, নির্বাচিত কবিতা, প্রত্যেকেই পৃথক বিপ্লবী, বিবরের গান; কিশোরকাব্য: মেঘ গুড় গুড় বিষ্টি নামে, আগুনের ডিম, চড়াই ছানা, সাদা মেঘের ভেলা এবং টুপুর ও চরকাবুড়ি; গবেষণা: ওহীদুল আলম, আধুনিক বাংলা কবিতায় লোকজ উপাদান।
বিমলেন্দু বড়–য়া (১৯৩৩)। কবি, সাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কাব্য: মন পাব জেনে, কথা ঝরাবার মোহ, ভ্রমণ: স্বপ্নময়ী শ্যামদেশে, পাষাণের মৌনতটে, কোরিয়ায় কিছুদিন; জীবনী: সংঘরাজ শীলালংকার, বিশ্ববরেণ্য বিশুদ্ধানন্দ, পণ্ডিত গিরিশচন্দ্র বিদ্যাবিনোদ, ডা. বীরেন্দ্র লাল বড়–য়া, শান্তপদ মহাথের, বনশ্রী মহাথের, প্রফুল্ল কমল, বড়ুয়া, অন্যান্য: সংঘরাজ শীলালংকারকে ঘিরে স্মৃতি সমারোহ, কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন।
বিদ্যুৎ কুমার দাশ (১৯৭৯)। কবি, ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কাব্য: এই আঙুল ঝড়ের হাওয়ায়, উপন্যাস: মেঘের পথ বেয়ে।
বিশ্বজিত বড়–য়া (১৯৬৭)। কবি, ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘বিচ্ছিন্ন আবেগ’, ‘গাঁয়ের পথে পালকি চলে’, ‘ভূত পরি রাক্ষসের গল্প’।
বিশ্বজিৎ চৌধুরী (১৯৬০)। কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কলামলেখক, নাট্যকার, সমালোচক ও কিশোর সাহিত্যিক। তার প্রতিটি রচনা যেমন গভীর ও অতলস্পর্শী, তেমনি ব্যাপক। তাতে আছে বিষয় ও ভাষার কারুকাজ, আছে অভিনব বর্ণনা, আছে ঔদার্য ও বিস্ময়। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : তোমার প্রাণের জল, শ্যাওলা শরীরে, ও বন্যাপ্রবণ ৩.মাঠের ওপারে যাবে, লীলা? নির্বাচিত কবিতা; বিবাহবার্ষিকী ও অন্যান্য গল্প, সম্ভ্রমহানির আগে ও পরে, স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রেমের গল্প, দুধারি তলোয়ার, সেরা দশ গল্প, নির্বাচিত গল্প, তুমি কি ভালোবেসেছিলে? একটি নিঃসঙ্গ তালগাছ, নার্গিস, বাসন্তী, তোমার পুরুষ কোথায়, হে চন্দনা পাখি, দূর-সম্পর্ক, ফুটো; লিন্ডা জনসনের রাজহাঁস, পাখির জন্য খোলা আকাশ, ভূতের সঙ্গে পরির বিয়ে প্রভৃতি।
বেগম রুনু সিদ্দিকী (১৯৩৫)। গল্পকার, ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: এসো উল বুনি, তা-ধিন-তা, ছড়াবাগ, একাত্তরের স্মৃতি, নিবেদন, ফুল ফোটে পাখি গায়, মম হৃদয়ের ইথারে বিথারে, আমেরিকা: দূরের দেশে সুরের টানে, আমার ভালবাসার তীর্থ: মক্কা ও মদীনা, কালের কপোলতলে আগ্রা ও আনন্দ ভ্রমণ, মক্কা ও মদিনা: বিচ্ছেদের অনলে দগ্ধ হৃদয়ের ভালবাসা।
বেলাল মোহাম্মদ (১৯৩৬)। কবি, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কাব্য: কবিতা নয়, পর্যায়ক্রম নেই, অকাল অপাত্র, শুধু মিত্রাক্ষর, সামনে আছে মুক্তিযুদ্ধ, গল্প: লালবাবা, নকশা: গল্পের মতো, পাক-ভারত যুদ্ধকাহিনী, স›দ্বীপসন্দর্শন, গবেষণা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
ভাগ্যধন বড়ুয়া। কবি। প্রকাশিত গ্রন্থ: জ্বর ও নজর, অপর পৃষ্ঠার বৃত্তান্ত, নদীর নিজস্ব ঘ্রাণ।
মঈন ফারুক। কবি। প্রকাশিত গ্রন্থ: একাকী গন্তব্যে অবারিত শূন্যতা, সাদা ফুলদানী, বৈরী হাওয়া,
মঈনুদ্দীন মঈনু (১৯৫৫)। ছড়াকার, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত বই : পাবলিকের ছড়া
মতিউর রহমান সৌরভ ( ১৯৭১)। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: বৈচিত্র, কাব্য ও কবিতা: নির্বাচিত পংক্তি, জলেরও পিপাসা পায়।
মনওয়ার সাগর (১৯৬৬)। কবি, গবেষক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কিংবদন্তীর নারী, চন্দ্রা উপাখ্যান, মোহিনী।
মনজুর আহমদ ( ১৯৬২)। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: এই নাও তোমাকে দিলাম, ফেরাব না তোমাকেই ছোঁব (সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ), কবির সাথে একটি প্রহর (সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ)।
মনিরুজ্জামান (১৯৪০)। কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, গবেষক। বহুমাত্রিক প্রতিভা তার। ভাষা ও চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষণায় কিংবদন্তীতুল্য কাজ আছে তার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: গবেষণা: ভাষা সমস্যা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি সন্ধান: ১৯৪৭-৭১, ভাষাতাত্ত্বিক ফিল্ডওয়ার্ক, ভাষাতত্ত্ব অনুশীলন, সান্নিধ্যে ও গৌরবী স্মরণে, উপভাষা চর্চার ভূমিকা, উরমষড়ংংরধ রহ ইধহমষধফবংয ধহফ খধহমঁধমব চষধহহরহম, ঝঃঁফরবং রহ ঃযব ইধহমষধ খধহমঁধমব, শিশুসাহিত্য: নিম পাতা তুই তুই।
মনিরুল মনির। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: ঘরবদলের মানচিত্র, শব্দের অনন্ত অন্তর, নোঙরের মাতাল দরজা।
মনোরঞ্জন দাশ (১৯৪২-২০১৬)। কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: প্রবন্ধ: সাহিত্য ভাবনা, প্রসঙ্গ: সাহিত্য সংস্কৃতি, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, গল্প: কান্না হাসির জীবন পথে।
মমতাজ সবুর (১৯৩৪-২০০৬)। শিশুসাহিত্যিক, ছড়াকার ও গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: রূপান্তর, বাবার চিঠি, রূম্পা সোনার স্বপ্ন, নীল যন্ত্রণা।
মর্জিনা আখতার (১৯৫৮)। কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: ভালোবাসা জেগে থাক, অন্তরের বসতবাটি, ‘দুরন্ত শৈশব’। সম্পাদনা : প্রফেসর মোহাম্মদ খালেদ (যৌথ)।
মসউদ-উশ-শহীদ (১৯৪৫)। কবি, ছড়াকার, গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কাব্য : আমিই সেই প্রেমিক যুবক, উপন্যাস: নীলার ভালবাসা, কিশোরতোষ: সোনারোদে ঝিকমিক, এক সাহসী ছেলের গল্প, ছোটদের বিশ্বনবী, অজানা দ্বীপ, আলোর পাখি আলোর কবি, হীরে মোতি পান্না, মুক্তিযুদ্ধের ছড়া, দোয়েল আমার শাপলা আমার।
ময়ুখ চৌধুরী (১৯৫০)। বাংলাদেশের সাহিত্যে এক অনিবার্য নাম। শিল্পসচেতন কবি হিসেবে, বিরল প্রসাদগুণসম্পন্ন প্রাবন্ধিক ও পরিশ্রমী গবেষক হিসেবে তার অধিষ্ঠান তর্কাতীত। বোধে, অনুভবে ও পারঙ্গমতায় তিনি মনে প্রাণে সৎ, সাহসী ও শুদ্ধ। তার কবিতার সৌন্দর্য এতোটাই স্পর্শকাতর ও অপূর্ব যে, পাঠক কবিতাটি পাঠ করা মাত্রই পৌঁছে যান এক স্বপ্নিল ও রহস্যময় জগতে, যেখানে এক ঐতিহ্যমণ্ডিত শিল্পের প্রতিচ্ছবি কবি দৃশ্যময় করে তোলেন। ভাষার বলিষ্ঠতা ও সুরের গতিময়তা তার দুর্বোধ্য ও জটিল ভাবনাকেও সুখপাঠ্য করে দেয়। কি শব্দ প্রয়োগে, কি বক্তব্যে, কি বিন্যাসে, কি আঙ্গিকে, কি উপমায়, কি ছন্দে তিনি এক মেধাবী কবি। ময়ুখ চৌধুরীর প্রকাশিত গ্রন্থ : কালো বরফের প্রতিবেশী, অর্ধেক রয়েছি জলে, অর্ধেক জালে, তোমার জানলায় আমি জেগে আছি চন্দ্রমল্লিকা, প্যারিসের নীলরুটি, আমার আসতে একটু দেরি হতে পারে, পলাতক পেণ্ডুলাম, ক্যাঙ্গারুর বুকপকেট, পিরামিড সংসার, জারুলতলার কাব্য, চরণেরা হেঁটে যাচ্ছে মুণ্ডুহীন, ডান হাতের পাঁচটি আঙুল, উপন্যাস : খসড়া সম্পর্ক, গবেষণা : উনিশ শতকের নবচেতনা ও বাংলা কাব্যের গতিপ্রকৃতি।
মহি মুহাম্মদ (১৯৭৪)। কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। মূলত কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: অন্তুর ভেজা আকাশ, কালো মেঘের ডানা, পিঁপড়াপুত্র, জলদিঘি, অহল্যাকথা, সুচেতনা ও হরিশচন্দ্র লাইন, কয়েকজন শেফালির গল্প, বৈকুণ্ঠপুর, আড়াইপাতা, ময়নাদ্বীপ, মেনকা ঘাইহরিণী, কফিনের উইলি, উড়নচণ্ডী, ভাড়াবউ, নয়নপোড়া।
মহীবুল আজিজ (১৯৬২)। সাহিত্যের প্রায় সব ক’টি শাখায় তার বিচরণ স্বতঃস্ফূর্ত। প্রবন্ধ, গবেষণা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও অনুবাদে তিনি একজন দক্ষ কারিগর। নানা ক্ষেত্রে তিনি দেখিয়েছেন তার সপ্রতিভ সক্ষমতা। লেখায়, বলায়, জ্ঞানে, পাণ্ডিত্যে, শিক্ষায় তিনি এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার প্রকাশিত বই : সান্তিয়াগো’র মাছ, রৌদ্রছায়ার প্রবাস,, হরপ্পা’র চাকা, পৃথিবীর সমস্ত সকাল, নিরানন্দপুর, বৈশ্য বিশ্বে এক শূদ্র, অসুস্থতা থেকে এই-মাত্র, এই নাও দিলাম সনদ, আমার যেরকম প্রস্তুতি ২০০৪, আমরা যারা স্যানাটরিয়মে, পালাবার কবিতা, দৃশ্য ছেড়ে যাই, ট্যারানটেলা, ওগো বরফের মেয়ে, হৃদয় বর্ণের কবিতাগুচ্ছ, ভরসানামা, চৎরাধঃব গড়সবহঃং, কাব্যসমগ্র, শ্রেষ্ঠ কবিতা, হ্যাকার তুমি, প্রেমনামা, লকডাউন ও অন্যান্য কবিতা, গ্রাম উন্নয়ন কমপ্লেক্স ও নবিতুনের ভাগ্যচাঁদ, দুগ্ধগঞ্জ, মৎস্যপুরাণ, আয়নাপড়া, বুশম্যানের খোঁজে, নীলা মা হতে চেয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, তপন শীল ও তার বিবাহ-প্রকল্প, কর্নেলকে একটা মেয়ে পৌঁছে দিতে হবে। বাড়ব, যোদ্ধাজোড়, বর্ণসন্তান, প্রশান্ত পরিত্যাগ প্রভৃতি।
মহুয়া চৌধুরী। কবি, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত বই : ‘প্রবাসে শিকড়ের গল্প’, ‘কথারা মেলেছে ডানা’ ও ‘ধূসর বিকেলের পদাবলী’।
মহুয়া ভট্টাচার্য। কবি, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত বই : পুনরাবৃত্ত, মহুয়ার গল্প।
মানজুর মুহাম্মদ। কবি, ছড়াকার, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত বই : মাটির পাখি আলোর ডানা, ইচিং বিচিং চিচিং ফাঁক, নির্বাচিত ছড়া, রুবাইয়াত, ছন্দে ছড়ায় নাচ্ছে চড়াই, ছড়ার ঘড়া মধু ভরা, জলপাই রঙের গ্রেনেড, একাত্তরের পাখি, গগন যখন গেরিলা, কাশের কোলে বাতাস দোলে, ইস্টি এলো ইস্টিরে, ছুটছে তালে ছড়ার ঘোড়া প্রভৃতি।
মাসুদ আনোয়ার (১৯৫৯)। কবি, ছড়াকার, অনুবাদক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: হুক্কাহুয়া, আশ্রয়, জ্বালা, জেলঘুঘু, স্বর্ণলালসা, আধিপত্য, মায়াবী দিনের খাতা।
মাহফুজ পারভেজ (১৯৬৫)। কবি, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: আমার সামনে নেই মহুয়ার বন, নীল পারাবত।
মাহবুবা চৌধুরী। কবি, গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘এক মুঠো চাঁদ’, হাতের দু’ভাঁজে ঘুম, ক্ষুধার্ত আঁধার হাসে, শিখা হয়ে জ্বলো।
মাহবুবুল আলম সাবু (১৯৪১)। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: মনের হাটে বিকিকিনি, আঁখি মেলো ওগো কৃষ্ণ কলি।
মাহবুবুল হক ( ১৯৪৮)। বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য অঙ্গনে এক অনন্য নাম। লেখালেখি, সম্পাদনা, শিক্ষকতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার কৃতিত্ব ও প্রয়াস তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলা বানানের বিশেষজ্ঞ, মননশীল প্রাবন্ধিক ও পরিশ্রমী গবেষক হিসেবে তিনি দেশে-বিদেশে সুধীজনের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। ছড়া রচনায়ও তার উপস্থিতি লক্ষণীয়।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ: প্রবন্ধ-গবেষণা: মাক্সিম গোর্কির মা,আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ পরিচিতি, বাংলা বানানের নিয়ম, পাঠ্য বইয়ে বাংলা বানানের নিয়ম, নজর”ল তারিখ অভিধান; জীবনী: আশুতোষ চৌধুরী, অনুবাদ: মৌমাছি ও মানুষ, টাইম মেশিন, অক্টোবর বিপ্লবের বিজয়গাথা; সংকলন: বিশ্ব তারিখ অভিধান, ঈযরঃঃধমড়হম এঁরফব; সম্পাদনা: হাজার বছরের চট্টগ্রাম, আবুল ফজলের নির্বাচিত প্রবন্ধ, জল পড়ে পাতা নড়ে (রবীন্দ্র কিশোর সাহিত্য), আজিকে এই আকাশ তলে, কলরোল, রবি করে কবিকণ্ঠ, পদাতিক, মিছিল, সাহসী ঠিকানা; কিশোর সাহিত্য: বাতাসের কথা, সবই হলো কিসমত, বেড়াল কুমির ও খরগোশের গল্প, পাঠ্যবই: চারুপাঠ, সপ্তবর্ণা, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সংকলন, গল্প-কথার আলপনা, গল্পগাথা, চিরায়ত সাহিত্য, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও রচনারীতি।
মাহবুবুল হাসান ( ১৯৫৮)। ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: ইঁদুরের পাল্লায় হুলো বেড়াল (১৯৮৯), কুটুম পাখির ছড়া (১৯৯২), বুদ্ধু রাজার ছড়া (১৯৯৬), উড়ো খবর (১৯৯৯), পতাকার ঐ লাল গোলকে (২০০০)।
মাহমুদুল হাসান নিজামী ( ১৯৬৭)। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: নীল বেদনার কাব্য, আকাশের ঠিকানা, নির্ঝরনীর মুখ।
মিজানুর রহমান শামীম ( ১৯৬৭)। কবি ও ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: সব পেটুকের দল, নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, নষ্ট প্রেমের কষ্ট লিরিক, নির্বাচিত ছড়া, বালক আঁকে পাখিক পালক।
মিনহাজুল ইসলাম মাসুম (১৯৭৪)। কবি, ছড়াকার ও গল্পকার। তার প্রকাশিত বই : কর্ণফুলীর গাঙচিল, ভূতের কবলে দরবেশ বাবা, ছোটদের বিশ্বনবি সা., স্লো পয়জনিং, বাবার খুশি মায়ের হাসি, মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন, হৃদয় গোলাপের পাপড়িগুলো।
মিনার মনসুর (১৯৬০)। কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, গবেষক। তিনি বঙ্গবন্ধু-হত্যাপরবর্তী প্রতিবাদী সাহিত্যধারার অন্যতম পুরোধা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম মাইলফলক স্মারকগ্রন্থ ‘শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ’ সম্পাদনা করেছেন ১৯৭৯ সালে। বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৭৮ সালে প্রকাশ করেছেন ‘এপিটাফ’। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ‘আবার যুদ্ধে যাবো’ শিরোনামে একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করেছেন ১৯৮০ সালে। এতে পঁচাত্তরের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবাদী কবিতা রচনায় তিনি অনন্য। তার প্রকাশিত বই : এই অবরুদ্ধ মানচিত্রে, কবিতাসংগ্রহ, মা এখন থেমে যাওয়া নদী, মিনার মনসুরের দ্রোহের কবিতা, মিনার মনসুরের প্রেমের কবিতা, পা পা করে তোমার দিকেই যাচ্ছি, নির্বাচিত কবিতা, আমার আজব ঘোড়া, নির্বাচিত ১০০ কবিতা, অতল জলের টানে, হেলাফেলার ছড়া, চিরকালের নেতা, হাসান হাফিজুর রহমান: বিমুখ প্রান্তরে নিঃসঙ্গ বাতিঘর, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত: জীবন ও কর্ম, শোষণমুক্তির সংগ্রামে মধ্যবিত্তের ভূমিকা, কবি ও কবিতার সংগ্রাম, আমার পিতা নয় পিতার অধিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শত্রæমিত্র, বঙ্গবন্ধু কেন দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, জলপাইরঙের একটি হেলমেট আর এক জোড়া বুট, শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আত্মকথা, মুক্তিযুদ্ধের উপেক্ষিত বীর যোদ্ধারা প্রভৃতি।
মিলটন রহমান। কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, গবেষক। তার প্রকাশিত বই : ভবদীয় পাখোয়াজ, ইউরোপে বিশ শতকের লিটলম্যাগ আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, চূর্ণকবিতা, স্নোড্রপ চুম্বনেরা, কবি শহীদ কাদরী ও অন্যান্য প্রবন্ধ, নকশাপুরাণ, নিষঙ্গ, চূর্ণকাল, ব্রুটাস পর্ব ও কর্তার শারীরিক অবনতি।
মিলন বনিক। কথাসাহিত্যিক, ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : আদরের নৌকা, তবে তাই হোক, ছোট্ট রাজার গল্প, কাঁঠাল গাছে ভূতের হাঁড়ি, সপ্তর্ষি, জাদুর পুতুল, এখানে আকাশ নীল, সত্য ও সুন্দরের পূজারী সাধু তারাচরণ পরমহংসদেব, রাখাল ও বাবুই পাখি, দাদুর আছে জাদুর আয়না, নোনাজলে নীলপদ্ম, খোকাদের পোড়োবাড়ি, ঘুমপরিদের আনন্দমেলায়, অপারেশন তালপুকুর, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ রাসেলের গল্প, খোকাবাবুর চশমা।
মিলি সুলতানা (১৯৭৫)। কবি ও কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: অন্তরে আছো তুমি, রইব তোমার সাথে।
মীর রমজান আলী (১৯৪৮-২০১০)। কবি, প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: স্মৃতির দুয়ারে তুমি, কেমন আছো জানতে ইচ্ছে করে।
মুকুল সেন ( ১৯৫৪)। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: দীর্ঘশ্বাসে উড়ে যায় আয়ু।
মুজিব রাহমান। কবি ও ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: সব ডালে পাখিরাও বাঁধে না বাসা।
মুনা চৌধুরী। কবি ও গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: প্রেম তুই
মুর্তজা বশির (১৯৩৩-২০২০)। বাংলাদেশের শিল্পকলার উজ্জ্বল এক নক্ষত্র। কিংবদন্তি শিল্পী। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও প্রতিবাদে মুর্তজা বশীর ছিলেন অগ্রভাগে। ২১ ফেব্রুয়ারির ওপর ‘রক্তাক্ত ২১ শে’ শিরোনামে ১৯৫২ সালে তিনি লিনোকোটে চিত্রটি আঁকেন। এশিয়াটিক সোসাইটির মতে, ‘রক্তাক্ত ২১ শে’কে ভাষা আন্দোলনের ওপর আঁকা প্রথম ছবি হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ শহীদ মিনার থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত বাংলাদেশে চারু ও কারুশিল্পী পরিষদের উদ্যোগে ‘স্বাধীনতা’ মিছিলে নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। কবি ও কথাসাহিত্যিক হিসেবেও তিনি খ্যাত। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কাচের পাখির গান, ত্রসরেণু, তোমাকেই শুধু, আল্ট্রামেরীন, ‘এসো ফিরে অনুসূয়া’, ‘সাদায় এলিজি’, ‘মিতার সঙ্গে চার সন্ধ্যে’, ‘অমিত্রাক্ষর’।
মুয়িন পারভেজ। কবি। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: সঞ্জয় উবাচ
মুশতারী শফী (১৯৩৮-২০২১)। কবি, ছড়াকার, সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারী নেত্রী; যিনি শহীদ জায়া ও শহীদ ভগ্নি হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্প: শংখচিলের কান্না, জীবনের রূপকথা, এমনও হয়ে, একগুচ্ছ গল্প তোমাদের জন্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক: স্বাধীনতা আমার রক্ত ঝরা দিন, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী, ভ্রমণ: আমি সুদূরের পিয়াসী, স্মৃতিকথা: চিঠি; সম্পাদনা: বান্ধবী, ললনা।
মুস্তফা নঈম (১৯৬১)। কবি, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্প: পিনাকীর মাটির কাছে যাওয়া।
মুহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী ( ১৯৫৫)। কবি, গীতিকার, নাট্যকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: স্মৃতির ক্যানভাসে, নির্বাচিত আধুনিক বাংলা গান।
মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন (১৯৫৩)। ছড়াকার, গবেষক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: বিশ্ব সাহিত্যের দ্বাদশ নক্ষত্র, জাপানের সাহিত্য ও সাহিত্যিক, জিকুর বেলুন।
মুহম্মদ নুরুল ইসলাম (১৯৪৩)। প্রাবন্ধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: হিরাগানা কাতাকানা সহজপাঠ।
মুহম্মদ নূরুল ইসলাম (১৯৫৬)। কবি, প্রাবন্ধিক, ইতিহাস লেখক ও লোকসাহিত্য গবেষক। তার প্রকাশিত বই : বাঙলাভাষার আঞ্চলিক শব্দবৈচিত্র্য, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কক্সবাজারের অবদান, কক্সবাজারের বিলুপ্তপ্রায় লোকাচার, উখিয়ার ইতিহাস, কক্সবাজারের প্রবাদ-প্রবচন ধাঁধা, একাত্তরের স্মৃতি প্রভৃতি।
মুহম্মদ নুরুল হুদা (১৯৪৯)। তামাটে জাতির কবি ও বাঙালি জাতিসত্তার কবি হিসেবে খ্যাত। শুধু কবি হিসেবে নয়, সাহিত্যের নানা শাখায় তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, অনুবাদ, শিশুসাহিত্য- প্রায় প্রতিটি শাখায় তিনি স্বচ্ছন্দ। তিনি পালন করছেন কাব্য-আন্দোলনের প্রধান সংগঠকের ভূমিকাও। কবিতার নির্মাণশৈলীতে, বাক-প্রতিমায়, উপমা-উৎপ্রেক্ষায় এবং শব্দের অপরূপ চয়নে তিনি অনন্যসাধারণ। ছন্দ-মাত্রা-পর্বের ওজন মাপা গাণিতিক নিয়ম ব্যবহারের কারণে তার কবিতার শরীরে সৃষ্টি হয় অপূর্ব ব্যঞ্জনা।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কাব্য: শোণিতে সমুদ্রপাত, আমার সশস্ত্র শব্দবাহিনী, শোভাযাত্রা, দ্রাবিড়ার প্রতি, অগ্নিময়ী হে মৃণ¥য়ী, আমরা তামাটে জাতি, শুক্লা শকুন্তলা, নির্বাচিত কবিতা, যিসাস মুজিব, হনলুলু ও অন্যান্য কবিতা, কুসুমের ফণা, বারো বছরের গল্প, এক জনমে লক্ষ জন্ম, গালিবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, আমি যদি জলদাস তুমি জলদাসী, হ্যামিলনের রাজা, তেলাপোকা, জাতিসত্তার কবিতা, প্রিয়াংকার জন্য পক্তিমালা, ভিনদেশী প্রেমের কবিতা, অরক্ষিত সময়, প্রেমের কবিতা, দিগন্তের খোসা ভেঙে, ভালোবাসার বুকপকেটে, খবংনরধহ ঈষড়ঁফং ধহফ ড়ঃযবৎ চড়বসং, আমার কপালেও সময়ের ভাইফোটা, প্রিয় পঙ্তিমালা, মৌলাধুনিক, মুজিববাড়ি, দেখা হলে এক হয়ে যায়, সিকোরাক্স, প্রবন্ধ: শর্তহীন শর্তে, লক্ষণ সংহিতা, মহানবী, ঋষধসরহম ঋষড়বিৎং: চড়বঃং জবংঢ়ড়হংব ঃড় ঃযব বসবৎমবহপব ড়ভ ইধহমষধফবংয (সম্পা.), রবীন্দ্র-প্রকৃতি ও অন্যান্য প্রবন্ধ, সার্ত্র ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, প্রাণের মিনার শহীদ মিনার, সৃষ্টিশীলতা ও অন্যান্য; কথাসাহিত্য: জন্মজাতি, মৈনপাহাড়; অনুবাদ: পরিবর্তনের পথে, আগামেমনন, ইউনুস এমরের কবিতা, ওহ ইষরংংভঁষ ঐবষষ, বাস্তুহারা, ফ্ল্যাবারী ও কনরের গল্প, নীল সুমেদ্রের ঝর, রোমিও জুলিয়েট; সম্পাদনা: হে স্বদেশ, চড়রবসধ, কবি মধুসূদন, কবিতা ১৩৯০, কবিতা ১৩৯১. শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে কবিতাগুচ্ছ, হুমায়ুন কবির রচনাবলী, আবুল হাসানের অগ্রন্থিত কবিতা, বাংলাদেশের নির্বাচিত কবিতা, অধোরেখ, বিশ্বাস, ছোটদের অভিধান (যৌথ), বহুবচন, হোমিওপ্যাথিক পরিভাষা, কবিতা : গনআন্দোলন, সাহিত্য মঞ্জুষা, ঞধষবং ঃড় ঞবষষ, ঝঃড়ৎরবং ভড়ৎ ঃযব ণড়ঁহম, বাংলা একাডেমি ইংলিশ-বেঙ্গলি ডিকশনারি (যৌথ), শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রেমের পঙ্তি, ঘধুৎঁষ : অহ ঊাধষঁধঃরড়হ, নজরুল ও বঙ্গবন্ধু, নজরুল স্বরলিপি সংগ্রহ, চড়বঃৎু ড়ভ কধুর ঘধুৎঁষ ওংষধস, শিশুতোষ: বাংলা একাডেমি ছড়ায় বর্ণমালা।
মুহাম্মদ মুসা খান (১৯৬২)। কবি, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘দুঃখিনী এক নারীর গল্প’, ‘চোখ মেলে দেখুন’।
মুহাম্মদ শামসুল হক (১৯৫৮)। ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু হলেও প্রাবন্ধিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তার প্রকাশিত বই : স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু : প্রামাণ্য দলিল,; স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি ও বেতার ঘোষণার ইতিবৃত্ত, চোখে দেখা ৭১- প্রথম পর্ব; স্বাধীনতার সশস্ত্র প্রস্তুতি : আগরতলা মামলার অপ্রকাশিত জবানবন্দি, খ্যাতিমানদের নানা রঙের দিনগুলি,; স্বাধীনতার বিপ্লবী অধ্যায়-বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য ৪৭-৭১, স্বাধীনতার সশস্ত্র প্রস্তুতি ও বঙ্গবন্ধু -আগরতলা মামলার অপ্রকাশিত জবানবন্দি (নতুন) ৪৪ প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে দেখা ৭১ -দ্বিতীয় পর্ব, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও তার সঙ্গীরা; একাত্তরের শোকগাথা; যুক্তি তথ্য-প্রমাণ প্রেক্ষাপট: বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক।
মুহাম্মদ সৈয়দুল আলম (১৯৭৩)। কবি, গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: অহর্নিশ।
মেহেরুন্নেছা মেরী (১৯৭৯)। কবি, কথাসাহিত্যিক। তার প্রকাশিত বই: স্বপ্নচারিণী।
মো. মাহবুবউল আলম (১৯৪০)। কবি ও ছড়াকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: ছন্দের নাম বুলেট, ঐশী আলোর জলসাঘর, আদর্শের চেয়ে মানুষ বড়, অভেদম, মওলানা ভাসানী।
মোমিন উদ্দীন খালেদ (১৯৬২)। লেখক, চিত্রশিল্পী। তার প্রকাশিত বই : রেখায় রেখায় ও রেখাচিত্র।
মোশতাক রায়হান (১৯৭৬)। ছড়াকার, গল্পকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কিশোর গল্প: ঘুম ভাঙা দুপুরে, সম্পাদিত গ্রন্থ: চাঁদের হাসি ফুলের হাসি, ওইখানে যেওনাকে তুমি।
মোস্তফা কামাল পাশা (১৯৫২-২০২২)।
(চলবে)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়