তুরাগ : মাদক কারবারির হাতে ছুরিকাহত এসআই

আগের সংবাদ

বাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস

পরের সংবাদ

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : যুক্তরাষ্ট্র-চীনের কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আটকে যায়

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিরোধিতার কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আটকে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গেলে তাদের বিরোধিতায় আটকে যায়।
‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন কে এম খালিদ। তিনি বলেন, গণহত্যা নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা গবেষণা করছে। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নেতৃত্বে এই গবেষণা চলছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে তথ্য আমরা পাচ্ছি, তাতে গণহত্যার শিকার মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি হবে। সুতরাং সংখ্যা নিয়ে যারা বিতর্ক করেন, তাদের ধারণা অমূলক। সুস্পষ্ট তথ্যউপাত্ত আমাদের কাছে আছে। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। খুব শিগগিরই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে যাব।
নিজেকে বাংলাদেশে গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণহত্যা আমি নিজের চোখে দেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল ও জগন্নাথ হলের সবাইকে হত্যা করা হয়। এক রাতে এক লাখ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকা মুক্তাগাছার কাছে ব্রহ্মপুত্র নদের চরে হত্যার শিকার কয়েকশ মৃতদেহ দেখেছি। সেখানে হত্যার শিকার আমার বন্ধু রমজানের মৃতদেহের হাড়গোড় একটা কাপড়ে বেঁধে তার রিকশাওয়ালা বাবা দৌড়াতে দৌড়াতে চিৎকার করেছেন। আমি সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখেছি। সুতরাং কারা বলে গণহত্যা হয়নি?
সভাপতির বক্তব্যে স¤প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লন্ডন, ব্রিসবেনহ বিভিন্ন শহরে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে অধিকাংশ লেখা বাংলায় আছে। এটি ইংরেজি, ফরাসি ও ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা দরকার। দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি হওয়া উচিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়