সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

স্বাধীনতা দিবসে বিটিভির আয়োজন

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। দিবসটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) রয়েছে বিশেষ আয়োজন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় থাকছে পরিবর্তন। প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান। এছাড়াও বঙ্গভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। প্রচারিত হবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের নিয়ে সংগীতানুষ্ঠান। এছাড়াও প্রচারিত হবে বিশেষ আলেখ্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, বীরাঙ্গনার সাতকাহন, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তির অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিশ্লেষণ ‘বজ্রকণ্ঠ’, ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্লেষণ ‘স্বাধীনতার মহাকাব্য’। প্রচারিত হবে অ্যানিমেটেডে চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’ ও স্বাধীনতা দিবসের নাটক ‘একটি দুঃস্বপ্নের রাত’। এছাড়াও অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে প্রচারিত হবে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাণী। বিটিভির মহাপরিচালক ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ বলেন, ‘২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় একটি দিন। এরই মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল বাঙালির রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ দিনটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার স্মারক। দিনটি ঘিরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে বর্ণিল আয়োজনে।’

নাটক ‘একটি দুঃস্বপ্নের রাত’
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিটিভিতে প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক ‘একটি দুঃস্বপ্নের রাত’। নান্নু চৌধুরীর রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, চিত্রলেখা গুহ, মোহাম্মদ বারী, মতিউর রহমান, আশিক চৌধুরী, সুমাইয়া সাকি, গাজী রোকন ও তমা ইসলাম। প্রচারিত হবে ২৬ মার্চ রাত ৯টায়। নাটকের গল্পে দেখা যাবে- ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় সারা ঢাকা শহরে কারফিউ চলছে। শহর অবরুদ্ধ হয়ে আছে পাকিস্তানি সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে। সেই রাতে জামান সাহেব ও সেলিনা বেগম দম্পতি অপেক্ষায় আছেন তাদের একমাত্র ভার্সিটি পড়–য়া সন্তান জাহিদের ঘরে ফেরার। হঠাৎ দরজায় কড়া নড়ে। ভয়ে ভয়ে তারা দরজা খুলে দেখেন এক তরুণী। নাম তার হাসি, সেও ভার্সিটিতে পড়ে। তার কাকুতি-মিনতিতে সে রাতে ওই তরুণীকে নিজের ঘরে আশ্রয় দেন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের সন্তান জাহিদও ঘরে ফেরেন। ভার্সিটি পড়–য়া এই দুই তরুণ-তরুণীর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা নিয়ে আলাপ হওয়ার পর তারা একে অন্যের জন্য টান অনুভব করেন এবং তারা যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মাঝ রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে পাকিস্তানি আর্মিরা। তারা খুঁজতে থাকে জাহিদকে। বাবার-মায়ের জোরাজুরিতে জাহিদ বাগানে আশ্রয় নেয়। জাহিদকে না পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জাহিদের বাবাকে আঘাত করে হাসিকে তুলে নিয়ে যায়। বাবা মায়ের চিৎকারে জাহিদ ঘরে ফিরে ক্রোধে ফেটে পড়ে। এরপর সব বাধা উপেক্ষা করে জাহিদ বাসা থেকে বেরিয়ে নির্জন রাস্তা দিয়ে ছুটতে থাকে ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। প্রতিশোধের নেশা জাহিদকে পেয়ে বসে।

:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়