ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ-লাতিন আমেরিকার মধ্যে এমওইউ সাক্ষর

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও লাতিন আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এলএবিসিসিআই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। গতকাল বুধবার বিডা সম্মেলন কক্ষে দুই পক্ষের মধ্যে এমওইউ সই হয়।
এলএবিসিসিআই সভাপতি মো. আনোয়ার শওকাত আফসার বলেন, এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এলএবিসিসিআই এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিডা থেকে অধিভুক্তি পেয়েছে। এখন লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর ব্যবসায়ী সমাজ এলএবিসিসিআইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে আরো আত্মবিশ্বাসী হবে।
তিনি আগামী ৬-১৭ মেতে এ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) ইভেন্ট ইন লাতিন আমেরিকা-২০২৩’ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। যা যৌথভাবে বিডা, ডিবিসিসিআই, এলএবিসিসিআই নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে আয়োজন করা হবে। এই মেগা ইভেন্টে অংশ নেবেন বাংলাদেশি ও ইউরোপিয়ান বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সম্ভাব্য খাতে আকর্ষণ, লাতিন আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার স¤প্রসারণ, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, টেক্সটাইল, সয়াবিন, সূর্যমুখী, লৌহ আকরিক, পেট্রোলিয়াম তেল, সার, আরএমজি, কাঠের লগ, পাট, চামড়া ও ওষুধ রপ্তানি ইত্যাদির মতো সেক্টরগুলোর ওপর বি২বি নেটওয়ার্কিং ও সেমিনার আয়োজন করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বিডা ও এলএবিসিসিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
গত ১৫ বছরে আমারদের অর্থনীতির বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটেছে। বাংলাদেশ শুধু ১৭ কোটি মানুষের বিশাল ডোমেস্টিক মার্কেটই নয়, বরং যথাযথ বিনিয়োগ করলে এখান থেকেই ভারত চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৩০০ কোটির কনজুমার মার্কেটে প্রবেশ করা যাবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের রয়েছে দক্ষ তরুণ জনগোষ্ঠী যা বিনিয়োগকারীদের সহজেই আকর্ষণ করতে পারে।
১০০টি ইকোনমিক জোন, ২৮টি হাইটেক পার্ক এবং বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার দেশ বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নিরাপদ বিনিয়োগের গন্তব্য। তিনি এলএবিসিসিআই নেতাদের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পাশাপাশি ইউরোপ থেকে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়