প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

যাবজ্জীবন সাজা : ধর্ম-নাম গোপন করেও রেহাই পায়নি ধর্ষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক যুবক নাম এবং ধর্মীয় পরিচয় পাল্টে শাস্তি এড়ানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। অবশেষে তাকে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ছাতিপট্টি এলাকার জুয়েলারি মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। গ্রেপ্তার সুপন চন্দ্র দেবনাথ (২৫) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার হেসাখাল গ্রামের রাধা কৃষ্ণ দেবনাথের ছেলে।
খুলশী থানা পুলিশ জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী গ্রেপ্তার যুবকের নাম সুপন হলেও ধর্ষণের মামলা ও বিচারের নথিপত্রে এবং সাজা পরোয়ানায় তার নাম ‘মো. সবুজ (২২)’ লেখা আছে। মামলার এজাহারে তার বাবার নাম মো. আক্কাস, মায়ের নাম শেফালী বেগম উল্লেখ আছে। বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় এবং বর্তমান ঠিকানা চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার টাংকির পাহাড় এলাকার সোহেলের ভাড়াঘর উল্লেখ আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুন নগরীর লালখান বাজারে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘মো. সবুজের’ বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য খুলশী থানায় সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই আসামি সবুজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সবুজকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামি ছয় মাস জেলে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যান। ওসি বলেন, সাজা পরোয়ানায় আসামির নাম লেখা আছে সবুজ এবং ঠিকানা ফেনী ও লালখান বাজারে। আমরা সেই নামঠিকানা অনুযায়ী কয়েকবার অভিযান চালাই। তবে বর্ণিত ঠিকানায় এই নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তখন আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করি। মামলার বাদীকে নিয়ে কুমিল্লায় সেই অবস্থানে গিয়ে অভিযান করে তাকে গ্রেপ্তার করি। বাদী নিজে তাকে শনাক্ত করেন। ওসি সন্তোষ বলেন, কয়েকবার অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে জানতে পারে সুপন চন্দ্র দেবনাথের নামঠিকানা ও ধর্মীয় পরিচয় পাল্টে ‘মো. সবুজ’ হিসেবে পরিচিত হওয়ার কথা। সবুজ জামিনে গিয়ে নাম বদলে সুপন পরিচয়ে কুমিল্লায় চাকরি করতেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সবুজের নাম পরিচয় ভুয়া ছিল। মামলা থেকে রেহাই পেতে তিনি তার ধর্ম ও প্রকৃত নাম গোপন করে ভুয়া নামঠিকানা দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়