প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

মধ্যবিত্ত যুবকের কোন স্বপ্ন থাকতে নেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমি তো তোমাকে নিঃশর্তে ক্ষমা করেছি সেদিনই;
পৃথিবীর দীর্ঘতম বেদনাবিধুর আর বিষণ্ন রাতটি
যেদিন নেমে এসেছিলো আমার জীবনে;
তোমার অর্থলিপ্সার কাছে যেদিন সকরুণভাবে
পরাজিত হয়েছিলো আমার নির্দোষ ভালোবাসা;
যেদিন চোখের সামনে ঝুলন্ত অন্ধকার ছাড়া
আর কিছুই অবশিষ্ট ছিলো না আমার;
সপাং সপাং নির্দয় চাবুকের আঘাতে
যেদিন তুমি রক্তাক্ত করেছিলে
আমার কোমল হৃদয়;

বিশ্বাস করো,
দীর্ঘতম সেই বেদনার রাত ভোর হওয়ার আগেই
আমি তোমাকে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দিয়েছি।

তোমাকে ক্ষমা করা
আমার জন্য খুব সহজ ছিলো না;
এজন্য আমাকে সাধনা করতে হয়েছে
দিনের পর দিন রাতের পর রাত এমনকি বছরের পর বছর;
দিনের পর দিন অভুক্ত থেকে
আমাকে হেঁটে বেড়াতে হয়েছে একাকী নীরবে জনাকীর্ণ রাস্তায়;
কখনোবা পূর্ণিমা রাতে জোছনার স্নিগ্ধ ছায়ায় ছায়ায়;

একেকবার ভেবেছি হিমালয়ের দিকে চলে যাই
আর ঋষিদের মতো ধ্যানে মগ্ন হই
কিংবা আত্মহত্যা করি;

কিংবা চলে যাই নীরব নিথর আর নির্জন কোন অরণ্যে;
যেখানে আমার কেউ নেই;
যেখানে নিরন্তর চেষ্টা করেও কেউ কারো হতে পারে না কখনো;
যেখানে সবাই খুব নিঃসঙ্গ আর একা;
কিন্তু নিয়তি আমাকে বেঁধে রেখেছে তোমার পৃথিবীতেই।
আমি জানতাম
তোমাকে ভুলে যাওয়া সম্ভব হবে না এই জীবনে;
তাই আমি তোমাকে ক্ষমা করে মুক্তি পেতে চেয়েছি
এই নরক যন্ত্রণা থেকে;

যদিও তোমাকে ভুলে যাওয়ার চেয়েও কঠিন ছিলো
তোমাকে ক্ষমা করে দেওয়া;
তবু ভেবেছি
আমাকে তা পারতেই হবে
আমাকে জানতেই হবে
কিভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর অপরাধীকেও ক্ষমা করা যায়;
ভালোবেসেও কিভাবে নিষ্ঠুরতার প্রতিদান দেয়া যায়;

সকল নিন্দা আর কলঙ্ককে উপেক্ষা করে
আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম বলে
তোমাকে ঘৃণা করার মতো পাপ
আমাকে গ্রাস করতে পারেনি;
তুমি আঘাতের পর আঘাত করে গেছো আমাকে
কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবেসে গেছি অবিরাম;
তাই ভালোবাসা আমাকে মহান করেছে;
আমাকে করেছে আকাশের মতো উদার;
আমার উদারতার কাছে তোমার বিশ্বাসঘাতকতা
খুবই ক্ষুদ্র; খুবই তুচ্ছ;
আমার মহান ক্ষমার কাছে তোমার স্বার্থপরতা
চিরদিন নতজানু হয়ে র’বে।

তবু কোন কোন নির্জন অন্ধকার রাতে
উষ্ণ রক্তের স্রোতধারা বইয়ে দেয়া
একেকটি বিভীষিকাময় রাতের করুণ আর্তনাদ
আমার ভেতরে এখনো হাহাকার করে কেঁদে ওঠে;
এখনো সশব্দে বৃষ্টি এলে বেড়ে যায় আমার হৃদয়ের উত্তাপ;
ভেজা জোছনার ছায়ায় বসে বসে
আমি ভাবি ফেলে আসা সেইসব
রোদমাখা উজ্জ্বল দিনের কথা;
আমাদের বিরহের মতো দীর্ঘ একেকটি চুম্বনের কথা;
আমাদের যৌবনের হিরন্ময় সব গোপন স্বপ্নের কথা;
এবং বেদনায় নীল স্বপ্নভঙ্গের কথা;

কেননা, আজ আর আমার কোন স্বপ্ন নেই;
নেই স্বপ্ন ভঙ্গের কোন বেদনা;
আমি বুঝে গেছি আজ
মধ্যবিত্ত যুবকের কোন স্বপ্ন থাকতে নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়