প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

পাসপোর্ট সেবা নির্বিঘœ করতে ঢাকায় আরো দুই কার্যালয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : দুই কোটি লোকের বসবাসের নগরী রাজধানী ঢাকা। তবে এখানে পাসপোর্ট কার্যালয় চলু রয়েছে তিনটি। আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন জায়গার সংকুলান নেই, অন্যদিকে অফিস তিনটিতে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। সেজন্য ঢাকায় বসবাসকারীদের নির্বিঘেœ সেবা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনস্থ বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাসপোর্ট অধিদপ্তর ঢাকায় খুব সিগগিরই আরো দুটি কার্যালয় চালু করতে কাজ যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা পশ্চিমে বসিলার অফিসের যাবতীয় কাজ খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এছাড়া আরো একটি কার্যালয় করার জন্য ভবন খোঁজা হচ্ছে। চাহিদা মতো ভবন মিলে গেলেই পূর্ব ঢাকার কার্যালয়টি চালু করা হবে। এই কার্যালয় দুটি চালু হলে ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কার্যালয় সংখ্যা দাঁড়াবে ৫টিতে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, বসিলার অফিসটি চালু করার জন্য কম্পিউটার, সার্ভার সংযোগ, চেয়ার-টেবিল সবকিছু বিভিন্ন কক্ষে বসানোর কাজ চলছে। পূর্ব ঢাকার জন্য ভবন পেলে সেটিতে স্থাপনের জন্য সব সরঞ্জামও প্রস্তুত রয়েছে। এই দুই কার্যালয়ের জন্য জনবলের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে। চাহিদা মতো দ্রুতই জনবল নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দুটি কার্যালয় চালু হলে পাসপোর্ট অফিসে মানুষের যেসব হয়রানির স্বীকার হতে হয়, সেগুলো আর থাকবে না। দিতে হবে না বায়োমেট্রিক ও ফিঙ্গারের জন্য দীর্ঘ লাইন। খুব কম সময়ে বিতরণ করা সম্ভব হবে পাসপোর্ট। এতে করে সেবাগ্রহীতাদের সময় বাঁচবে কয়েক গুণ।
সেবাগ্রহীতারা বলছেন, অনলাইনের আবেদন করার পর দীর্ঘ যানজট ঠেলে ক্লান্ত শরীর নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে আসতে হতো। এরপর হয়রানির শেষ নেই। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ওইদিনই বায়োমেট্রিক ও ফিঙ্গার দেয়া যাবে কিনা তা নিয়েও ছিল সংশয়। এমনকি পাসপোর্ট হাতে পেতেও হয়রানির কমতি নেই। যদি আরো কার্যালয় বাড়ানো হয়, তাহলে এসব ভোগান্তি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে।
রাজধানীর মেরাদিয়ার বাসিন্দা আবদুল করিম ভোরের কাগজকে বলেন, বাসে করে যানজট ঠেলে বারবার আগারগাঁও যাওয়াটা খুবই কষ্ট সাধ্য। যদি এখানে পাসপোর্ট অফিস হয়, সেটি আমাদের অন্যতম আনন্দের বিষয়। বাসার পাশেই আমরা সেবা পাব। যখন মানুষ দেখবে, ঝামেলা ছাড়াই বাসার কাছাকাছি পাসপোর্ট করা যাচ্ছে, তখন মানুষের প্রতি পাসপোর্ট বানানোর আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন আবদুল করিম।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুক ভোরের কাগজকে বলেন, বসিলায় পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে শুনে খুবই উচ্ছ¡সিত বোধ করছি। এই কার্যালয়টি চালু হওয়ার পরই পাসপোর্ট আবেদন জমা দেব। বাসার কাছে সেবা পেলে কেউ তো আর দূরে যাবে না, তাই না? একই সঙ্গে এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান ওমর ফারুক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ভোরের কাগজকে বলেন, যেহেতু পাসপোর্ট একটি সেবা খাত সেজন্য কাজ করতে গেলে জায়গা এবং কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে নির্বিঘেœ সেবা দিতে সুবিধা হয়। এই নতুন দুই কার্যালয় চালু হলে আবেদনকারী এবং সেবা দাতা উভয়ই ঝামেলামুক্তভাবে দায়িত্ব শেষ করতে পারবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়