প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী : বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া কোনো সেতু নয় > রুশ জাহাজটি রূপপুরের মালামাল নিয়ে কোথায় আছে জানা নেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া নদীতে কোনো সেতু নির্মাণ করা যাবে না। রোডস এন্ড হাইওয়েজ, এলজিইডি, সেতু বিভাগ কেউই যেন কোনো ব্রিজ নির্মাণ করতে না পারে, সে বিষয়ে ডিসি সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের তদারকি করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের নদীগুলোর নৌ প্রবাহ যেন ঠিক থাকে আমরা সেটাই চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিরার মধ্যে যদি রক্ত প্রবাহিত না হয় তাহলে মানুষ থেমে যাবে। তেমনি নদীমাতৃক বাংলাদেশেও নদীগুলোতে পানি প্রবাহিত না হলে প্রবাহ থেমে যাবে। নদীগুলো দুর্বল হয়ে যাবে। আমাদের নদীগুলোতে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ চলাচল করে। কোন নদীতে কোন জাহাজ চলাচল করবে সেটা মাথায় রেখেই ভবিষ্যতে সেতুগুলো নির্মাণ করতে হবে। এজন্য অনুমোদন দেয় বিআইডব্লিউটিএ। বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া রোডস এন্ড হাইওয়েজ, এলজিইডি, সেতু বিভাগ কেউই যেন নদীর ওপর কোনো ব্রিজ নির্মাণ করতে না পারে সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের তদারকি করতে বলেছি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস ভারত থেকে ১৩ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়ে আবার ভারতে ফিরে যাবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ মোংলা সমুদ্র বন্দরে আমরা গঙ্গা বিলাস জাহাজটিকে স্বাগত জানাব। এই জাহাজটিকে স্বাগত জানানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস বাংলাদেশের নদীতে এলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবাদীরা সবসময়ই ভালো কাজগুলোতে বিরোধিতা করেন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেও তারা বিরোধিতা করেছেন। আমরা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মংলায় যে গভীরতা তৈরি করছি তাতে এখন সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ সহজেই বন্দরে ভিড়বে। অথচ এই চক্রটিই তখন বিরোধিতা করেছে। তাদের বিষয়গুলো হলো আমাদেরকে আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে। এই চক্রটি কখনোই দেশের উন্নয়নের কথা বলে না।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে ভারত থেকে ফিরে যাওয়া রাশিয়ার জাহাজ আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাহাজটি সর্বশেষ কোথায় আছে তা আমরা জানি না, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তাদের ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা আছে। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার করেছি। এখন রাশিয়া কিভাবে জাহাজ পাঠাবে, মালামালগুলো তাদের এজেন্টরা কিভাবে নিয়ে আসবে সেটি তাদের বিষয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সঙ্গে ডিসিদের সবসময়ই ভালো যোগাযোগ থাকে। ডিসি সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা উপকূলীয় অঞ্চলে যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা তাদের সমস্যাগুলো আমলে নিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়