প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

জাতিসংঘের প্রতিবেদন : সেনাশাসিত মিয়ানমারে আফিম চাষ বাড়ছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সেনা শাসিত মিয়ানমারে গত বছর আফিম চাষ ৩৩ শতাংশ বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংঘাতে বিপর্যস্ত দেশটিতে ছয় বছর নি¤œমুখী ধারায় থাকার পর পরিস্থিতি উল্টে গেছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) এক কর্মকর্তা বলেছেন, দুই বছর আগে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে, তার সঙ্গে এই আফিম চাষ বৃদ্ধির ‘সরাসরি সম্পর্ক’ আছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নেয়ার পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তাজনিত এবং শাসনতান্ত্রিক সংকট একবিন্দুতে মিলেছে; তাই দূর-দূরান্ত, সংঘর্ষপ্রবণ এলাকার কৃষকদের আফিম চাষে ফেরা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকেনি, বলেছেন ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস।
এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মিয়ানমারের সামরিক জান্তার এক মুখপাত্রের মন্তব্য চেয়ে যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি। অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের অর্থনীতি ক্রমশ নিচের দিকে নামছে; ডলারের বিপরীতে কিয়াত (মিয়ানমারের মুদ্রা) আরো দুর্বল হচ্ছে, খাদ্য ও জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।

ইউএনওডিসির মিয়ানমারের কান্ট্রি ম্যানেজার বেনেডিক্ট হফম্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিকল্প এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া আফিম চাষ এবং উৎপাদন ক্রমে বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’
২০২২ সালে আফিম চাষ করা জমির পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে ৪০ হাজার ১০০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে, গড় আনুমানিক ফলনও হেক্টরপ্রতি ৪১ শতাংশ বেড়ে ২০ কেজিতে পৌঁছেছে; ইউএনওডিসি ২০০২ সাল থেকে তথ্য নেয়া শুরুর পর এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ, বলছে জাতিসংঘের প্রতিবেদন। এর মধ্যে চীন, থাইল্যান্ড ও লাওসের সঙ্গে সীমান্ত থাকা মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য শানে আফিম চাষ সবচেয়ে বেশি ৩৯ শতাংশ বেড়েছে।
২০২১ সালের প্রতিবেদনে চাষকৃত এলাকা বের করতে মূলত উপগ্রহের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। মিয়ানমারে বিপুল পরিমাণ আফিম উৎপাদিত হয়, কোনো কোনো বছর এর মূল্য ২০০ কোটি ডলারেও পৌঁছায়; এরপর এই মাদক প্রতিবেশী দেশগুলোর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে পৌঁছায়, বলছে জাতিসংঘের প্রতিবেদন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়