প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন : ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকল্প নেই’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার, স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তিনদিনব্যাপী বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআর এর উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিএসআইআর চট্টগ্রাম গবেষণা কেন্দ্রে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিএসআইআর এর সচিব ও সদস্য (অর্থ) শাহ আবদুল তারিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা রাখেন প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. দীপংকর চক্রবর্তী। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে তিন দিনব্যাপী এই বিজ্ঞান মেলা শুরু হয়েছে। পরিবেশ দূষণ, উপকূলীয় বেড়িবাঁধ রক্ষা, নদীভাঙন রোধ, পানি পরিশোধন, স্যাটেলাইট শহর প্রতিষ্ঠা, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, যানজট নিরসনসহ সমসাময়িক সমস্যা সমাধানের কৌশল নিয়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মেলায় উপস্থাপন করছেন ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলায় ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ, নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, বিসিএসআইআর স্কুল, বিএফএ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ, সিটি করপোরেশন কূলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিজ্ঞান ক্লাবসহ ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। মেলায় ৭৫টি স্টলে ১৫০টি প্রজেক্ট প্রদর্শিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ মেলায় তাদের উদ্ভাবিত গবেষণা প্রকল্পগুলো প্রদর্শন করেন। বিসিএসআইআর এর আয়োজনে এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, দিনদিন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষার্থীরা আজ ব্যবসায় শিক্ষামুখী। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে অনেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকল্প নেই। আমাদের পরবর্তী প্রজš§কে অবশ্যই এ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজের জন্য ডিজিটাল সংযোগ মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস, বিগ ডেটার মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তী প্রজন্মকে ‘গেøাবাল ভিলেজ’ এর সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়টি ছিল তার চিন্তায়ও। তাই তিনি ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন, এ দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়