‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

রাজস্ব ঘাটতি বেড়েছে আমদানি-রপ্তানিতে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানি-রপ্তানিতে রাজস্ব ঘাটতি সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। তবে শেষ ৬ মাসে অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক হলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছর শুরু করে এনবিআর। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়া হয় কাস্টমসের ওপর। শুরুর কয়েক মাস ভালো চললেও আমদানিতে লাগাম টানার সিদ্ধান্তে শেষ কয়েক মাসে রাজস্ব আয় কমেছে। প্রথম ৬ মাস অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে ঘাটতি ৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চাপের মুখেও অর্থবছর শেষে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, সেই সঙ্গে আদায়ের হারও বাড়বে বলে আশাবাদী রাজস্ব বোর্ড। রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস নীতি) মাসুদ সাদিক বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শিগগিরই ভালোর দিকে যাবে আশা করছি। এলসি (ঋণপত্র) যদি আবার বেশি বেশি খোলা হয় ও পণ্য আমদানি বাড়ে, তাহলে আমরাও আরেকটু বেশি পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারব।
রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি হয়রানি বন্ধ ও কাস্টমসকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, অর্থপাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে এনবিআর। তিনি বলেন, আমরাও কিন্তু অর্থপাচার আইনে অনেক মামলা করেছি। সব কর্তৃপক্ষই এটি নিয়ে কাজ করছে এবং আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যথেষ্ট কঠিন হবে। এদিকে সরকার ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেশ বড় আকারের ঋণ নিয়েছে। সেটিও শোধ করতে হবে। তাই অর্থপাচার ঠেকাতে কড়া নজরদারির পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নজির সৃষ্টির পরামর্শ দেন এ অর্থনীতিবিদ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ঘাটতি ১৫ হাজার ১১২ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে শেষ ৬ মাসে রাজস্ব বোর্ডকে আরো ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়