মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

অয়েলপ্রাইসডটকমের প্রতিবেদন : জ্বালানি তেল ও গ্যাস থেকে রাশিয়ার আয় কমেছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেন আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে রাশিয়ার রপ্তানি মূল্যের ওপর। ফলে গত বছর রপ্তানি হ্রাস পাওয়ায় রাশিয়ার চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত হ্রাস পায় রেকর্ড পরিমাণে। অয়েলপ্রাইসডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
যদিও ২০২২ সালের অগ্রগতির ধারাবাহিকতার বিপরীতে ক্রমান্বয়ে একের পর এক প্রান্তিকজুড়ে রাশিয়ার চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত কমতে থাকে। বিশেষ করে পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে মস্কোর গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর বড় ধরনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যদিও তখন ইউরোপীয় ক্রেতারা রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় বাবদ ছাড়ের অনুরোধ জানিয়েছিল। যদিও ২০২২ সালে উচ্চমূল্যে তেল ও গ্যাস রপ্তানি বাবদ রাশিয়া বড় অঙ্কের লাভ উঠিয়ে নিতে সমর্থ হয়েছিল। তাছাড়া এখনো দেশটি উচ্চপরিমাণে রপ্তানি করছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার জ্বালানি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাশিয়ান গ্রেড ও অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দামের ওপর ছাড় কিংবা ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য সমুদ্রপথে আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা চলতি বছর জ্বালানি রপ্তানি বাবদ পুতিনের রাজস্ব আয়কে সংকুচিত করবে।
সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানিতে জি৭-এর প্রাইস ক্যাপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে অবশ্য মূল উদ্দেশ্যটি হাসিল করেছে পশ্চিমাবিশ্ব। রাশিয়ার বাজেটের অন্যতম উৎস জ্বালানি রপ্তানি থেকে অর্জিত আয়। বিরোধী পক্ষটি রাশিয়ার বাজেটের মূলভিত্তি তেল রপ্তানি বাবদ আয়ের লাগাম টানতে সফল হয়েছে। এ অবস্থায় অপরিশোধিত তেলের বেশির ভাগই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিচে ও অতিরিক্ত ছাড়ে এশিয়ার দেশগুলোতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে মস্কো।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত ব্যাংক অব রাশিয়ার তথ্য অনুসারে দেখা যায়, দেশটির চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে নেমে এসেছে মাত্র ৩ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে। তৃতীয় প্রান্তিকে যা ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ ৭ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি কার্যক্রম পুনরুদ্ধার হলেও রপ্তানি মূল্য, বিশেষ করে জ্বালানি রপ্তানির পরিমাণ কমেছে।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ও জি৭-এর মূল্য বেঁধে দেয়ার পর রাশিয়ার তেল রপ্তানির পরিমাণ কমেছে দিনে ২ লাখ ব্যারেল (বিপিডি) পরিমাণ। ডিসেম্বরে মাত্র ৭৮ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে দেশটি।
জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি বাবদ রাশিয়ার আয় ডিসেম্বর নাগাদ কমেছে ১৭ শতাংশ। ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে যা সর্বনি¤œ। এদিকে পরিশোধিত তেল আমদানির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা, প্রাইস ক্যাপ ও পোল্যান্ড পাইপলাইনে তেল আমদানি হ্রাস আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রতিদিন রাশিয়ার আনুমানিক ১৩ কোটি ডলার পরিমাণ ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত ‘কেউ’ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের প্রাইস ক্যাপের প্রভাবে প্রভাবিত হয়নি। তাছাড়া রাশিয়াও এখনো প্রাইস ক্যাপের প্রভাবে পড়েনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়