সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

ডুমুরিয়ায় খাদ্য গুদামে ধান চাল দিতে কৃষকের অনীহা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে : চলতি আমন সংগ্রহের ২ মাস পার হলেও ডুমুরিয়া উপজেলার কোনো কৃষক খাদ্য গুদামে ১ কেজি ধানও বিক্রি করেনি। তবে খুলনা শহর থেকে এনে চাল ব্যবসায়ীরা মাত্র ৪২ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৯০০ টন চাল বিক্রি করায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান বা চাল কিনবে সরকার। ডুমুরিয়া উপজেলায় ধান কেজিপ্রতি ২৮ টাকা দরে ৯৫ টন এবং চাল কেজি প্রতি ৪২ টাকা দরে ৪৮৩ টন কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।
আর গত ১৭ নভেম্বর থেকে উপজেলায় অত্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু সরকারি গুদাম থেকে বাইরের বাজারে বিনা ঝামেলায় বেশি দাম পাওয়ায় কোনো কৃষকই বা ব্যবসায়ী আজাবধি গুদামে ১ কেজি ধান বিক্রি করেনি।
অপরদিকে উপজেলার এম এ জামান অটোরাইড মিলসহ ৩টি মিল খাদ্য গুদামে ২৫৪ টন চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১০ টন চাল দিয়েছে। তবে খুলনা শহরের চাল ব্যবসায়ীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অনুমতি নিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে হলেও ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য শুদামে এনে এ পর্যন্ত ৯৬৬ টন চাল বিক্রি করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, কোনো কৃষক ধান দিতে আসেনি। আর খুলনা মহানগর থেকে চাল পেয়েছি ৮৪৫ টন। ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা তৈয়েবুর রহমান বলেন, ধানের বাজার দর কম বলে কোনো কৃষক ধান বিক্রি করতে আসেনি। মিলগুলো থেকে ২৫৪ টন চালের লক্ষ্যমাত্র থাকলেও চুকনগরের জামান আটো ও শাহিন রাইচ মিল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ১০ টন চাল দিয়েছে।
কিন্তু খুলনা মহানগরের মিলগুলো থেকে ১ হাজার ৮০ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ পর্যন্ত ৬৬ টন সিদ্ধ চাল পেয়েছি। ডুমুরিয়ার ধান- চাষি মোশাররফ হোসেন কচি বলেন, খোলা বাজারে ধানের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা মন। তাছাড়া চালও ৫৫-৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা বাজারে বেশি দাম পাচ্ছে বলে ডুমুরিয়ার কেউ নামে ধান-চাল বিক্রি করছে না।
তবে খুলনা জেলায় ধান-চাল দেয়ার সুব্যবসস্থা থাকলেও শহরের চাল ব্যবসায়ীরা কি কারণে ১৬ কিলেমিটার দূরে এসে ডুমুরিয়ার খাদ্য গুদামে বিক্রি করছে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র থেকে জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে গুদাম থেকে যে চাল দেয়া হয় ওই সব চালই শহরের বিভিন্ন হাত ঘুরে নতুন রুপে গুদামে ফিরে আসছে। খুলনা শহরের গুদামে চাল দেয়ার সুব্যবস্থা থাকার পরও কেনো ১৬ কিলোমিটার দূরে এবং বাজার থেকেও কম দামে ডুমুরিয়ার গুদামে নিচ্ছেন, জানতে চাই মহানগর মিল মালিক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, আমার মিল থেকে ডুমুরিয়ায় পাঠানো সোজা।
আর সরকার বিপদে পড়বে, তাই লস হলেও আমরা সব সময় চাল দেই।
তবে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি, ডুমুরিয়ার ব্যবসায়ীরা ধান-চাল দিতে না পারলেও খুলনা শহরের চাল ব্যবসায়ীরা কেন ডুমুরিয়ার দিচ্ছে, বিষয়টি বুঝতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়