আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

মাহফুজামঙ্গল : প্রাসঙ্গিক আলোকপাত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মজিদ মাহমুদকে চিনি নানান পরিচয়ে। সাহিত্য-সম্পর্কের বাইরেও তার সঙ্গে একটা গভীর সংযোগ স্থাপিত হয়েছিল প্রায় ২৩-২৪ বছর আগে। আমি দ্বিতীয় দফায় ছাত্রত্ব গ্রহণ করেছিলাম উচ্চশিক্ষা অসমাপ্ত রাখার প্রায় ১৪ বছর পর। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে তাকে পাই তরুণ সহপাঠী হিসেবে। তখনই কবি হিসেবে আবিষ্কার করি তাকে। কালক্রমে তার পঠন-পাঠন আর জ্ঞানমনস্কতা আমাকে তার দুটি সত্তার সন্ধান দেয়। একটি তার সৃজনশীলতা অন্যটি মননশীলতা। এই দুই সত্তা ধারণ করে কবি ও প্রাবন্ধিক হিসেবে নিজেকে তখন ক্রমশ উন্মোচনে ব্যস্ত মজিদ। উন্মোচন না বলে বিকাশ বলাই ভালো। কারণ প্রচারমুখিতার বাইরে জ্ঞানচর্চা ও নিভৃত সাধনা তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বয়সের চেয়ে অনেক অগ্রগামী মজিদ আমার মতো অনেককে তখনই চমকিত করেছিলেন তার ‘মাহফুজামঙ্গল’ শিরোনামের শীর্ণকায় ২২টি কবিতার এই সংকলন দিয়ে। অনতি ২৩ বছরের কবির তিনটি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়ে গেছে ১৯৮৯ সালের আগেই। এ তথ্য মনে করে দিয়েছিল ‘ভানু সিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ স্রষ্টার কথা। কৈশোর পেরুতে না পেরুতেই তিনটি কাব্যগ্রন্থ। তার মধ্যে আবার ‘মাহফুজামঙ্গল’-এর মতো পূর্ণ কবিতা গ্রন্থও!
আমরা যারা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, তারা তো বটেই সাহিত্যের ইতিহাসের সঙ্গে যাদের মোটামুটি যোগ আছে তারাও জানেন, বাংলা সাহিত্যে মঙ্গলকাব্যের একটি ধারা মাত্র কয়েকশ বছর আগেই বহমান ছিল। অন্নদা, মনসা, শীতলা ইত্যাদি দেবীর পূজা দিতে সেকালের কবিরা আখ্যান ও পয়ারের মাধ্যমে কাব্যবাণী রচনা করেছেন ‘মঙ্গলকাব্য’ নামে। সেই বিলুপ্তপ্রায় কাব্যধারা অনুসরণ করে ঐতিহ্যকে নবায়ন বা সম্প্রসারিত করতে বিশ শতকের আটের দশকে যখন কোনো তরুণ ব্রতী হন, তখন সচেতন পাঠকমাত্রই চমকে উঠবেন। কেননা ওই প্রাচীন ধারাকে আধুনিকতায় প্রয়োগের জন্য কবির মৌলিকতা যেমন জরুরি, তেমনই অনিবার্য তার জন্য নতুন পথ নির্মাণেরও ক্ষমতা। বিশ শতকের আটের দশকের তরুণ কবির ‘মাহফুজামঙ্গল’ দেবীবন্দনা নয়- তবে মাহফুজা নামের এক নারীর সৌন্দর্য ও শক্তির প্রতি অনুরাগ প্রকাশের মধ্য দিয়ে মজিদ মাহমুদ একটি মৌলিক কাব্যগ্রন্থই রচনা করেছেন।
তাহলে অন্নদামঙ্গল ও মনসামঙ্গলের ধাঁচে ‘মাহফুজামঙ্গল’ কেন- এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। তারও জবাব এই কাব্যের কবিতামালায় নিহিত আছে। মধ্যযুগের অসহায় মানুষ রুদ্র প্রকৃতির রোষানল থেকে বাঁচতে অলৌকিক দেবীবন্দনা করেছেন; মজিদ মাহমুদ বিশ শতকের যন্ত্রযুগের যন্ত্রণাদগ্ধ মানুষের মনোযাতনা মোচনের স্বপ্ন লালন করেছেন কবিতায়। মাহফুজা এক প্রতীকী নারী। নারী তো শক্তিরূপিণী। সেই অনির্বাণ সুন্দরের প্রতিমাকেই তিনি পূজনীয় করে তুলেছেন পঙ্ক্তিতে পঙ্ক্তিতে। ব্যক্তির অনুরাগ নৈর্ব্যক্তিক করতে চেষ্টা করেছেন সমাজ পরিপার্শ্বের বাস্তবতাকে সৌন্দর্যের সঙ্গে যুক্ত করে।
মাহফুজামঙ্গল প্রকাশের ২৫ বছর উপলক্ষে একটি আলোচনা লেখার প্রসঙ্গ আসায় বিস্ময়ই জেগেছে। তাহলে আমাদের জীবন থেকে এতগুলো বসন্ত শুকনো পাতার মতো ঝরে গেল। এই তো যেন সেদিন কলাভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে উল্টাচ্ছি তরুণ সহপাঠীর একখানা চটি কবিতার বই মাহফুজামঙ্গল। মাত্র ২২টি কবিতার সংকলন। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ যেন এখনো ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে ভেসে আসছে। সময় আসলে এমনই। কী দ্রুত মোমের মতো গলে ফুরোয়- টের পাই না।
যতদূর মনে পড়ে তার সেই নতুন কাব্যগ্রন্থের একটি পরিচিতিও দৈনিক বাংলার সাহিত্যপাতায় লিখে দিয়েছিলাম আশির দশকের শেষভাগেই। আজ যখন নতুন করে মাহফুজামঙ্গল ‘উত্তরখণ্ড’ আর ‘যুদ্ধমঙ্গল’ কাব্য সংযুক্ত হওয়ার পর বর্ধিত কলেবরে মাহফুজামঙ্গল পড়তে বসলাম, তখন মনে হলো- যার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তার শুরুতেই টের পাওয়া যায়। মজিদ হƒদয়সংবেদী যত, ততটাই বুদ্ধিবাদীও। সে কারণে শুধু আবেগ নয়, মননেও ঋদ্ধ তার পঙ্ক্তি।
মননশীলতা অনেক সময় কবিতার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। সৃজনকে সে হƒদয়াবেগের চেয়ে যুক্তিতে চালাতে উদ্যত হয়। এমন কঠিন একটা পথ মজিদ মাহমুদ সহিসালামতে পাড়ি দিয়ে এত দূরে এসেছেন। এটা কম কথা নয়। এর পর তার আরো আরো কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধগ্রন্থ, গবেষণাগ্রন্থ বেরিয়েছে। কিন্তু মাহফুজামঙ্গল তার কবিজীবনের পূর্বাপর ‘বাতিঘর’ হয়েই আছে বলে আমার মনে হয়। কেননা মাহফুজামঙ্গলে একই সঙ্গে প্রেম আর মানবিক আবেগ যেমন আছে, তেমনই আছে সভ্যতার বিবর্তনের নানা পথের আভাসও। আছে মানুষের জন্ম-মৃত্যুর যুদ্ধ-বিগ্রহের, জীবন-সংগ্রামের স্ফুটোন্মুখ কুঁড়িগুলোও- যা মজিদের পরবর্তী সময়ের কবিতামালায় প্রস্ফুটিত। সে জন্যই তার কবিজীবনের বাতিঘর মনে হয়েছে বইটিকে।
পঁচিশ বছর কম সময় নয়। কোনো কোনো কবি তার প্রথম দিকের কাঁচা হাতের কাব্য পরিণত বয়সে অস্বীকারও করেছেন, করেন। কেউ কেউ পুনর্লিখনের মধ্য দিয়ে পরিমার্জিত সংস্করণ করেন। মজিদ এর কিছুই না করে তার অপরিণত বয়সের পরিণত লেখা নিয়ে গর্বই বোধ করছেন। ২৫ বছরে দুনিয়ার অনেক কিছু বদলে গেছে। এমনকি বাংলা কবিতার ভাষা, ক্ষেত্রবিশেষে বিষয়বস্তু পর্যন্ত। সেই নিরিখে ২৫ বছরের প্রান্তে দাঁড়িয়ে যখন মাহফুজামঙ্গলের পাতা উল্টাই, তখন মনে হয়- না, ভাষা বিষয় বাকরীতি কোনো কিছুই পুরনো হয়নি। বরং সাম্প্রতিককালের প্রজ্ঞা আর সৃজনশীলতায় মাহফুজামঙ্গল উত্তরখণ্ড ও যুদ্ধমঙ্গল রচনা করে মূল বইয়ের সঙ্গে যুক্ত করেছেন মজিদ, এই নতুন কাব্যমালার চেয়ে অধিকতর কমিউনিকেটিভ তার প্রথম পর্ব মাহফুজামঙ্গল। যে কোনো কবির জন্যই এটা শ্লাঘার বিষয়।
মাহফুজামঙ্গলের পাতায় একটু দৃষ্টিপাত করা যাক। প্রথম কবিতা কুরশিনামা। উদ্ধৃত করি কয়েকটি পঙ্ক্তি- ঈশ্বরকে ডাক দিলে মাহফুজা সামনে এসে দাঁড়ায়/ আমি প্রার্থনার জন্য যতবার হাত তুলি সন্ধ্যা বা সকালে/ সেই নারী এসে আমার হƒদয় তোলপাড় করে যায়।/ তখন আমার রুকু/ আমার সেজদা/ জায়নামাজ চেনে না/ সাষ্টাঙ্গে আভূমি লুণ্ঠিত হই… এ পর্যন্ত পড়ে অনুভব করা যায় এক গভীর সুফিবাদী দার্শনিকের মতো প্রেমময় সত্তায় লীন হওয়ার আকুতি। বিষয়টি একজন নারী মাহফুজাকে ছাড়িয়ে যায় এর পরের পঙ্ক্তি থেকে-
‘এ মাটিতেই উদগম আমার শরীর/ এভাবে প্রতিটি শরীর জানি বিরহজনিত প্রার্থনায়/ তার স্রষ্টার কাছে অবনত হয়/ তার নারীর কাছে অবনত হয়/ আমি এখন রাধারকাহিনী জানি/ সুরা আর সাকির অর্থ করেছি আবিষ্কার/ নারী পৃথিবীর কেউ নও তুমি/ তোমাকে পারে না ছুঁতে/ আমাদের মধ্যবিত্ত ক্লেদাক্ত জীবন/ মাটির পৃথিবী ছেড়ে সাত তবক আসমান ছুঁয়েছে তোমার কুরশি…।’
এরপর আর উদ্ধৃতি দীর্ঘ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। সচেতন পাঠক এ থেকেই আবিষ্কার করে নিতে পারেন মাহফুজার বহুমাত্রিক সত্তা এবং কবিতার সফল বর্ণনার অন্তরালে নিহিত রহস্যের স্বরূপও। পরের কবিতা ‘এবাদত’ পাঠ করলেও দেখি মাহফুজার শরীর কবির ‘তসবির দানা’ এবং ‘তোমার সান্নিধ্যে এলে জেগে ওঠে প্রবল ঈশ্বর’। আরো বিস্ময়ে মাহফুজাকে চিনে নিই, যখন মজিদ রচনা করেন ‘তোমার নামে কোরবানি আমার সন্তান/ যূপকাষ্ঠে মাথা রেখে কাঁপবে না নব্য-ইসমাইল।’ ‘দেবী’ শিরোনামে সভ্যতার সমান বয়সি হয়ে যেতে দেখি এই মাহফুজাকেই। ইসলামী ঐতিহ্যের মিথ ‘নব্য ইসমাইল’ শুধু নয়, নানামাত্রিক ঐতিহ্য আর মিথ মাহফুজামঙ্গল কাব্যে ব্যবহার করেছেন মজিদ মাহমুদ। তার মাহফুজামঙ্গল উত্তরখণ্ড যখন সচেতন পাঠক পড়বেন, দেখবেন একজন কবির ভাষা এবং বোধ কীভাবে বিবর্তিত হয়। আসলে কবির কাজ হচ্ছে পুনর্নির্মাণের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যকে আধুনিকতায় উত্তীর্ণ করে তোলা। মজিদ মাহমুদ সেই কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করার প্রয়াস পেয়েছেন তার মাহফুজামঙ্গলের বিভিন্ন পর্বে।
আমার কাছে এ কাব্য সংকলনের কাব্যমূল্য বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনার চেয়ে বড় করে দেখার বিষয় হলো- একজন কবির পেছনে ফেলে আসা সৃষ্টিশীলতার আবেদন কতদিন, কতখানি প্রাসঙ্গিকতায় টিকে থাকে সেটাই। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে অবশ্যই বলতে হয় মাহফুজামঙ্গল তখন যেমন এখনো তেমনই প্রাসঙ্গিক। ভাষার ক্ষেত্রে মজিদ মাহফুজামঙ্গলের বাকরীতি অনেকখানি অক্ষুণ্ন রেখেও নতুন উচ্চারণ করেছেন উত্তরখণ্ডে। ‘নদী’ শিরোনামে মজিদ যে কবিতা লিখেছেন সেদিকে দৃষ্টিপাত করলে বক্তব্যের দৃষ্টান্ত মিলতে পারে। পুরো কবিতাটিই ছোট বলে উদ্ধৃত করছি-
সুউচ্চ পর্বতের শিখর থেকে গড়িয়ে পড়ার আগে
তুমি পাদদেশে নদী বিছিয়ে দিয়েছিলে মাহফুজা
আজ সবাই শুনছে সেই জলপ্রপাতের শব্দ
নদীর তীর ঘেঁষে জেগে উঠছে অসংখ্য বসতি
ডিমের ভেতর থেকে চঞ্চুতে কষ্ট নিয়ে পাখি উড়ে যাচ্ছে
কিন্তু কেউ দেখছে না পানির নিচে বিছিয়ে দেয়া
তোমার কোমল করতল আমাকে মাছের মতো
ভাসিয়ে রেখেছে…
‘কোমল করতলে মাছের মতো ভাসিয়ে’ রাখার যে প্রতীকী ব্যঞ্জনা, তার আক্ষরিক অর্থ উপলব্ধির প্রয়োজন নেই সাধারণ পাঠকের, কিন্তু নদী যে সভ্যতা, প্রেম এবং মানবজাতির সমান্তরালে বহমান, এক আবহমান অস্তিত্ব-স্রোত, সেই সত্যটাই বড় হয়ে ওঠে মাহফুজা নামের এক নারীকে ছাপিয়ে। আমার কাছে এটাই মজিদের এই কাব্যগ্রন্থের বিশিষ্টতা বলে মনে হয়েছে। সে কারণেই মনে হয় ‘ক্রীতদাসী’ প্রতীকী দুঃখিনী জন্মভূমি বাংলাদেশকে কেউ যদি মাহফুজার সঙ্গে একাকার করে বিচার করতে চান, তা হলে ভুল করবেন না। একটি ভালো কবিতার এই গুণ। সে বহুমাত্রিক অর্থ-ব্যঞ্জনার আলো ফেলবে পাঠকভেদে। এক এক পাঠক এক এক অর্থে তার রস আস্বাদন করবেন। সুতরাং মাহফুজা যে শুধু নারী নয়- এমন এক আবহমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক, যে সৌন্দর্যের মধ্যে আনন্দ এবং বিষাদ, প্রেম এবং বিরহ, নারী এবং স্বদেশ একাকার। মাছের রূপকে, বহমান নদী স্রোতের রূপকে যখন দেখি মজিদ আসলে মানবজন্ম আর মানবসভ্যতার ইতিহাসের গল্প শোনাতে চান তার পাঠকদের, তখন আরো নিশ্চিত হই- এই প্রেম নশ্বর নারীর প্রেমমাত্র নয়। এই নারীও শুধু রক্তমাংসের মানবী মাত্র নয়। দৃষ্টান্ত অনেক। মাত্র কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করে আলোকময় সমাপ্তি টানা যাক-
মাহফুজা আমাদের জন্ম ছিল হেয়ারলিপস
খণ্ডিত খরগোশের মতো
আমাদের নাক ছিল দ্বিখণ্ডিত
আমরা ছিলাম যমজ ভাইবোন
একই মায়ের উদোরে শুয়েছিলাম নিশ্চুপ
পরস্পর কান পেতে শুনেছিলাম দিদার গল্প
আমাদের জন্মের পর একদিকে প্রচণ্ড শীত
অন্যদিকে খড়ায় মাটি দ্বিখণ্ডিত
শুষে নিয়েছিলাম জলজ প্রাণী
আমাদের জন্মই ছিল পৃথিবীর দুর্ভাগ্যের কারণ
আমরাই বয়ে এনেছি প্রাণের মৃত্যু
কৃষিজীবী সমাজের দ্বিখণ্ডিত মৃত্তিকা আর ক্ষুধা-যন্ত্রণায় বঞ্চিত মানুষের যে নৃতাত্ত্বিক বহমান ইতিহাস, জন্ম-মৃত্যুর যে শাশ্বত অনিবার্যতা- এর সবকিছু নিয়েই মাহফুজা সেই মানবী- যে কিনা কবির মনন আর সৃজনে আসলে সভ্যতারই ইতিহাস বলে যায়, অথবা তাকে ঘিরে আবর্তিত হয় ইতিহাসের গল্প। আগামী পঁচিশ বছরেও মাহফুজামঙ্গলে মলিনতা লাগবে বলে মনে হয় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়