আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

বাংলা আমার আবৃত্তি উৎসব : সৈয়দ হাসান ইমাম সংবর্ধিত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস হাজার বছরের। সময়ের পালা বদলে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য। বিদেশি অপসংস্কৃতির প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের ওপর। এর থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন শুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতি চর্চা বেগবান করা। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা সংস্কৃতিকে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ‘বাংলা আমার’। সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র বাংলা আমার-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ করে ২০১৭ সাল থেকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানীর রমনা এবং মিরপুরে বাংলা আমার-এর দুটি সাংস্কৃতিক পাঠশালা রয়েছে। যেখানে কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত, প্রমিত উচ্চারণ, বাদ্যযন্ত্র, উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলা আমার অনলাইনভিত্তিক দেশ ও দেশের বাইরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। বাংলা সংস্কৃতি বিকাশের জন্য বাংলা আমার বিভিন্ন শিরোনামে নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে এবং প্রতি বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণিল উৎসব আয়োজন করে।
বাংলা আমার-এর ৫ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘আবৃত্তি হউক গণমানুষের জন্য’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে উদযাপন করে দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজন ‘বাংলা আমার আবৃত্তি উৎসব ২০২৩’। বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী, সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফের স্মৃতির প্রতি উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়। রাজধানী ঢাকার এ উৎসবটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় অর্ধশতাধিক আবৃত্তিশিল্পী একক আবৃত্তি পরিবেশনা করেন। এছাড়া উৎসবে বাংলা আমার-এর শিল্পীরা একক আবৃত্তি, বৃন্দ আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী, নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন। উৎসবে বাংলা আমার-এর প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থী ‘নমঃ বাংলাদেশ মম’ শিরোনামে একটি আবৃত্তি প্রযোজনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রযোজনার মূল বিষয় ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম এবং উক্ত পরিবেশনায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৪ বছরের শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। একটি আবৃত্তি পরিবেশনায় এতজন মানুষের একত্রে অংশগ্রহণ একটি বিরল ঘটনা। প্রতি বছর বাংলা আমার একজন গুণীজনকে সম্মাননা এবং একজন তরুণ প্রতিশ্রæতিশীল শিল্পীকে প্রণোদনা প্রদান করে থাকে। এবারের উৎসবে বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামকে ‘বাংলা আমার সম্মাননা ২০২৩’ এবং প্রতিশ্রæতিশীল আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক মো. মুজাহিদুল ইসলামকে ‘বাংলা আমার প্রণোদনা ২০২৩’ প্রদান করা হয়। বাংলা আমার বর্ষসেরা সদস্যের স্মারক তুলে দেয়া হয় আরিফা বেগম এবং তানিয়া আফসারকে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি উৎসবে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বরেণ্য কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের আহ্বায়ক ও বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। আলোচনা পর্ব স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা আমার-এর সভাপতি মেহেদী হাসান আকাশ। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘গত চার বছরে আমি কমপক্ষে ৪০০ অনুষ্ঠানে গিয়েছি, আজকের আয়োজনটি আমার কাছে মনে হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আয়োজন। জাতির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি শিশুসহ সব বয়সি মানুষ নিয়ে ‘বাংলা আমার’ আবৃত্তি সংগঠন একটি অসাধারণ অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে, যা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ ও অভিভূত। সংস্কৃতিকর্মীদের কাছে আমরা এ ধরনের পরিপাটি ও গোছানো অনুষ্ঠানই প্রত্যাশা করি।’

-কান্তা আরিফিন

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়