বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর স্বীকারোক্তি

আগের সংবাদ

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা : কী করছেন কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

দুদকের শরীফ : চাকরি ফিরে পাবে কিনা জানা যাবে ৯ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নোটিস ছাড়া কর্মকর্তাদের অপসারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারী চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধি নিয়ে সংস্থাটির করা আপিল শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুতির বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানি মুলতবি করে হাইকোর্ট আদেশের বিরুদ্ধে মো. শরীফ উদ্দিনের লিভ টু আপিলও একই দিন (৯ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগে শুনানির জন্য উঠবে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার শুনানির এই তারিখ ধার্য করেন। এ সময় আদালতে শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শুনানিতে এডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন বলেন, শরীফ উদ্দিনকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া চাকরি থেকে অপসারণ করেছে। বরখাস্ত হয়ে এখন তিনি দোকানদারি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাহলে তিনি কি দোকানদারিই করে যাবেন? এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো নোটিস ছাড়া যে কোনো কর্মকর্তাকে অপসারণে দুদকের চাকরি সংক্রান্ত ৫৪(২) বিধি নিয়ে দুদকের আপিল আমরা শুনব। দুদকের আপিল যদি খারিজ হয়ে যায় তাহলে শরীফের চাকরি ফিরে পাওয়ার দ্বার খুলে যাবে। আর আপিল যদি অ্যালাউ হয় তাহলে ভিন্ন কথা। এরপর এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। দুই পক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, আপিল শুনানির জন্য লিখিত আরগুমেন্ট (যুক্তি) তৈরি করবেন।
কর্মচারী বিধিমালা ৫৪ (২) এর ক্ষমতাবলে নোটিস ছাড়া গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দুদক। এ বিধির ক্ষমতাবলে চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ১৩ মার্চ শরীফ হাইকোর্টে রিট করেন। পরে শুনানি হয়। অন্য এক রিট নিয়ে বিধিমালা ৫৪(২) নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি চলমান থাকায় গত বছরের ২৪ মে শরীফের রিট শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। শরীফের মতো বিধিমালা ৫৪(২) ক্ষমতাবলে ২০০৮ সালের মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। সেই সময় এই বিধির বৈধতা নিয়ে রিট করেন তিনি। চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। আবেদনটি ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে পরের বছর দুদক পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে। এর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন। আর এই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। এই বিষয়ে গত বছর দুদক আপিল করে। এখনো নিষ্পত্তি হয়। এই বিষয়টি উল্লেখ করে শরীফের করা রিটের শুনানি ওই আপিলের (দুদকের করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে হাইকোর্টের মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ। শরীফের লিভ টু আপিল ও দুদকের করা আপিল গতকাল একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন দুটির শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়