বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর স্বীকারোক্তি

আগের সংবাদ

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা : কী করছেন কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামেও বাবুল আক্তারের বাবা-ভাইয়ের জামিন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : স্ত্রী হত্যার অভিযোগে কারাগারে থাকা পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু চট্টগ্রামে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন। বাবুল আক্তার এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, আদালত শুনানি শেষে জামিন দিয়েছেন। তবে কতদিনের জামিন দিয়েছেন, সেটি আদেশ নিয়ে জানতে হবে। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তারা। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে ফের জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাতে নগরীর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। একই অভিযোগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল আক্তার। পরদিন ৬ জুন পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন বাবুল। পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর নগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে প্রধান আসামি করা হয় মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। অভিযোগপত্রে আরো যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়