বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

আগের সংবাদ

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত : উত্তররাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ > জনজীবন বিপর্যস্ত > বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই

পরের সংবাদ

শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলতি সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে এশিয়ার চালের বাজারে। শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলো আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশি দামেই পণ্যটি রপ্তানি করেছে। আমদানিকারক দেশগুলোয় ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা এবং বৈরি আবহাওয়ায় উৎপাদন ঘাটতি দাম বাড়াতে সহায়তা করছে। পাশপাশি চীনের লকডাউনসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ শিথিল করে নেয়ার বিষয়টিও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে।
ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল টনপ্রতি ৩৭৫-৩৮২ ডলারে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৪-৩৮০ ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে নতুন চাল উঠেছে। স্থানীয় বাজারে বাড়তে শুরু করেছে সরবরাহ। এ কারণে দাম বেশি বাড়েনি।
ভারতের চাল রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বি ভি কৃষ্ণ রাও বলেন, রপ্তানি বাজারে বর্তমানে সাদা চালের চেয়ে সেদ্ধ চালের চাহিদা বেশি। এছাড়া প্রতিযোগিতার বাজারে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় চালের বাজারদর।
গত ৩০ নভেম্বর ভাঙা চালসহ অর্গানিক নন-বাসমতি চালের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে ভারত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানি নীতিতে আনা পরিবর্তন সফলতা মুখ দেখেছে। এরই মধ্যে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি দামও স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তিন মাস ধরে এসব চাল রপ্তানি বন্ধ ছিল। এর ফলে প্রধান প্রধান আমদানিকারক দেশগুলো বিপাকে পড়ে যায়। ফের রপ্তানি শুরুর ঘোষণা আসায় আমদানিকারক দেশগুলোয় স্বস্তি ফিরেছে। শস্যটির রপ্তানি মূল্যও কমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক চাল বাণিজ্যে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাই ভারতের।
২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি সব মিলিয়ে ২ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল রপ্তানি করে। এর আগের অর্থবছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টন। করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশটি রপ্তানি করেছিল ৯৫ লাখ ১০ হাজার টন। অর্থাৎ গত অর্থবছর চাল রপ্তানি মহামারিপূর্ব পর্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছিল কিন্তু এ বছর পণ্যটি রপ্তানিতে মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশটি।
অন্যদিকে ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ফ্রি অন বোর্ড চুক্তিতে রপ্তানি হচ্ছে টনপ্রতি ৪৫৮ ডলারে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের পর এটিই সর্বোচ্চ দাম। এক সপ্তাহ আগেও দেশটি প্রতি টন চাল ৪৪৮-৪৫৩ ডলারে রপ্তানি করেছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চীন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নেয়া বিধিনিষেধ শিথিলের উদ্যোগ নিয়েছে। ঘোষণা দেয়া হয়েছে কোয়ারেন্টিন উঠিয়ে নেয়ারও। এ কারণে সুবিধা পাবে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা। চীনে বেশ ভালো পরিমাণ চাল রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২০২২ সালে ভিয়েতনামের চাল রপ্তানি ৭২ লাখ ২০ হাজার টনে পৌঁছানোর প্রাক্কলন করা হয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় রপ্তানি ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। দেশটির সরকারি একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গত মাসে দেশটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি করেছে। আয় এসেছে ২৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
এদিকে থাইল্যান্ড প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রপ্তানি করছে ৪৫২-৪৬৫ ডলারে। চলতি বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে দেশটি ৪৫২-৪৬০ ডলার মূল্যে চাল রপ্তানি করেছিল। মূলত দেশটির মুদ্রার বিনিময় মূল্য বৃদ্ধির কারণে শস্যটির বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। ব্যাংককভিত্তিক ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাপ্তাহিক ও নববর্ষের ছুটির কারণে কৃষক ও মিল পর্যায়ে বেচাকেনা কিছুটা কম। এ কারণে দাম বাড়লেও সেটির মাত্রা ছিল সীমিত। নতুন চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
দেশটির চালের রপ্তানি মূল্য কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। সামনের দিনগুলোয় দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে চালকলগুলোয় শস্যটির মজুদ বাড়াচ্ছে।
নতুন বছরে রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি আসতে পারে। বর্তমানে দেশটি ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি চাল রপ্তানি করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়