চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভূমি দখলে রাখা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আবারো অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এজন্য একটি প্ল্যান করতে হবে, সেখানে যাতে নতুনভাবে কোনো স্থাপনা না হয়। সেখানকার সরকারি ভূমি দখলে থাকা অসহায় মানুষের আশ্বস্ত করতে হবে। প্রকৃত আশা দিতে হবে যে, তাদের পুনর্বাসন করা হবে। সেখানে জায়গা বরাদ্দ পেতে প্রত্যাশী সরকারি সংস্থাগুলোর অনুকূলে প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে যে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে সেটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। কোনো ধরনের নির্মাণসামগ্রী সেখানে যাতে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে অবৈধভাবে যেসব ইউটিলিটিজ সার্ভিস আছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তাহলে অটোমেটিক ওখানে মানুষ থাকবে না। একইসঙ্গে অসহায় নাগরিকদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে হবে, সেটাও জরুরি। তাদের আশ্বস্ত করার জন্য ওখানে গিয়ে মিটিং করতে হবে না।
তিনি বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের নেতৃস্থানীয়দের ডেকে তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, আমরা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে জায়গা দিচ্ছি, তারা তোমাদের জন্য এখানে ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য যেভাবে সরকার ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেন সেভাবে তোমরাও পাবে। এটা বললে ওরা আশ্বস্ত হবে। এখন তারা টিনের চালা, কাঁচা ও আধাপাকা ঘরে আছে। সে যখন দেখবে যে সরকার নিলে আমিতো একটা পাকা বিল্ডিংয়ে থাকতে পারব, আমার বেটার লাইফ হবে, তখন কিন্তু সে এটাতে সহযোগিতা করবে। জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমশিনার কৃষ্ণপদ রায়সহ জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল আলম, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, স্থপতি মঞ্জুর কে এইচ উদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন প্রমুখ। সভায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।