বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

আগের সংবাদ

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত : উত্তররাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ > জনজীবন বিপর্যস্ত > বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামের মিরসরাই : আওয়ামী লীগ নেতার হামলায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের আহত ১৫

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ে অনুষ্ঠিত ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার শেষ দিন গতকাল রবিবার ভোর রাতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা সবাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ৬টি মোটরসাইকেল ও মেলায় বসানো ২টি দোকান। মেলা পরিচালনার দায়িত্বে না রাখায় ক্ষোভ থেকে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন আহতরা।
হামলায় আহতরা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উপমুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাহেদ বীন কামাল অনিক, সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত হোসেন, যুবলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন, তারেক, ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ উদ্দিন, আব্দুর রহমান, মিরাজ আকবর শাকিব, সাইফ উদ্দিন রিফাত, রাহুল বড়ুয়া, সরোয়ার হাসান। এছাড়া যুবলীগ নেতা মাইনুদ্দিন টিটুর অনুসারীদের আহত ৩ জনের নাম পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফ, আমজাদ হোসেন ইমন, সাহেদ বীন কামাল অণিক, ইমতিয়াজ উদ্দিন, আবদুর রহমান, রাহুল বড়–য়াকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানারাত চৌধুরী বাবু জানান, মেলা পরিচালনা কমিটিতে স্থান না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মেলা চলাকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটু গ্রুপের লোকজন ঝামেলা করতে চেয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি। মেলা শেষে আমাদের নেতাকর্মী ও মেলা পরিচালনা কমিটির লোকজনের উপর জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের প্রবেশ মুখে টিটুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শর্টগান, রকেট ল্যাঞ্চার, ককটেল ও হকি স্টিক নিয়ে হামলা করা হয়। তাদের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কাউছার আহমেদ আরিফ, ইমতিয়াজ উদ্দিন, তারেক, রিফাত, সাকিব ও সরোয়ার হাসান। পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিঁড়ে দেয়া হয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিকের। এছাড়া ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাহুলের বুকের পাঁজর ভেঙে গেছে।
এদিকে হামলার পর থেকে জোরারগঞ্জ বাজারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। এই বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শেষে মেলা পরিচালনা কমিটির লোকজন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর প্রকাশ্যে মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হামলায় আহতরা। মেলা শেষে আমরা রাতে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, রবিবার ভোররাত ৪টায় শর্টগানের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ ও শরীরের একাধিক স্থানে জখম হওয়া ১১ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, রবিবার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ ফেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়