রাজধানীর বাজারদর : সবজিতে স্বস্তি মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত

আগের সংবাদ

বই সংকটে উৎসবে ছন্দপতন : শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় একটি-দুটি অথবা গতবছরের বই > ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

পরের সংবাদ

হিলি স্থলবন্দর : ১ বছর পর ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দামে পড়তা না থাকাসহ নানা জটিলতায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকার পর পুনরায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে আবারো কয়লা আমদানির ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত থেকে পাঁচ ট্রাকে ১২৭ টন কয়লা আমদানি করা হয়। ভারতের বিহার প্রদেশের রানীগঞ্জ অঞ্চল থেকে ৯৫ ডলার মূল্যে প্রতি টন কয়লা আমদানি করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ হাজার ৭৫৩ টাকা। বন্দর দিয়ে এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর কয়লা আমদানি হয়েছিল। সে সময় বন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে ৭২ টন কয়লা আমদানি হয়েছিল।
বন্দর থেকে কয়লা খালাসের জন্য আমদানিকারক মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়লা আমদানিতে পড়তা না থাকাসহ নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। দীর্ঘ চার বছর বন্ধের পর গত বছরের নভেম্বরের শেষে বন্দর দিয়ে এক কনসার্নমেন্ট কয়লা আমদানি হয়েছিল। কিন্তু দামে পড়তা না থাকায় আবারো তা বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বাজারে কয়লার দাম বেশি হওয়ায় ও ভাটাগুলোয় কয়লার চাহিদা ব্যাপক থাকায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর মেসার্স গুপ্তা ইন্টারপ্রাইজ কয়লা আমদানি শুরু করেছে। প্রথম চালানে ৫ ট্রাকে ১২৭ টন কয়লা বন্দরে প্রবেশ করেছে। এখনো কয়লার ডকুমেন্টস পাইনি। এলসিসহ যাবতীয় কাগজপত্র কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করা হবে। এর পরীক্ষণ শুল্কায়ন সম্পূর্ণ করলে কত টাকা ট্যাক্স পড়বে তা বোঝা যাবে। মাল খালাসের পর শুল্কসহ দাম হিসাব করে আমদানিকারকের যদি পড়তা হয়, তাহলে নিয়মিত কয়লা আমদানি করবেন।
ভারত অংশে কয়লা আমদানিতে যেসব জটিলতা রয়েছে, সেগুলো যদি না থাকে এবং যথাসময়ে ঢুকতে পারে ও পড়তা থাকে, তাহলে বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে কয়লা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের বাজারে কয়লার বেশির ভাগ চাহিদা মেটানো হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানির মাধ্যমে। এছাড়া বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লার ভূমিকা রয়েছে চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে। কিন্তু এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে বিদেশ থেকে কয়লার আমদানি আগের তুলনায় কমেছে। তাই কয়লার দাম ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এক বছর ধরে বন্ধ থাকার পর আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি নতুন করে কয়লা আমদানির ফলে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে। কাস্টমসের পরীক্ষণ শুল্কায়ন শেষে কয়লা যাতে দ্রুততার সঙ্গে খালাস করে আমদানিকারকরা নিয়ে যেতে পারেন, এজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়