রাজধানীর বাজারদর : সবজিতে স্বস্তি মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত

আগের সংবাদ

বই সংকটে উৎসবে ছন্দপতন : শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় একটি-দুটি অথবা গতবছরের বই > ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

পরের সংবাদ

জ্বালানি সরবরাহ শঙ্কায় শুরু হচ্ছে নতুন বছর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ সংকটের মুখোমুখি। দাম বেড়েছে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের। ফলে কয়লা ও গ্যাস সরবরাহ শঙ্কায় শুরু হচ্ছে নতুন বছর। ২০২২ সালে চীনের শূন্য কোভিড-১৯ নীতি এবং বিশ্বমন্দার আশঙ্কায় সরবরাহ কমার কারণে শিল্প ধাতু, আকরিক লোহা ও রাবারের সরবরাহ শেষ হওয়ার পথে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও মহামরি সম্পর্কিত সরবরাহ বিঘিœত হওয়ায় মার্চে শস্য ও পাম অয়েলের দাম সর্বকালের উচ্চতায় উঠেছিল, যা খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে প্রভাবিত করে।
এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে একটি বড় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া ইউরোপে সরবরাহ কমানোর পরে এ বছর বিশ্বব্যাপী গ্যাসের বাজারে তৈরি হয় অস্থিরতা। শীতকালীন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় দেশগুলো রেকর্ড পরিমাণ আমদানি করতে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) অতিরিক্ত চাহিদা বিশ্ববাজারে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে, যা জ্বালানি সংকটকে বাড়িয়ে গ্যাসের দামকে ঐতিহাসিক উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। ২০২২ সালে নিউক্যাসল কয়েল ফিউচার বেড়েছে প্রায় ১৪০ শতাংশ, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন। টানা তৃতীয় বছরের মতো ইউএস গ্যাস ফিউচার এবং ডাচ হোলসেল গ্যাসের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। তাছাড়া যেহেতু শীতের পরও ইউরোপ এলএনজি আমদানি অব্যাহত রাখবে, তাই সীমিত সরবরাহের কারণে গ্যাসের দাম বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এলএনজি আমদানিকারক দেশ চীন। স¤প্রতি করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কঠোরতা উঠিয়ে দেয়ার ফলে নতুন বছরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাইবে দেশটি, যা ব্যাপক এলএনজি ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি বাজারে অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছে রাশিয়ার উত্তোলন কমিয়ে দেয়ার আশঙ্কাও দাম বৃদ্ধির ইন্ধন জোগাচ্ছে। জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর দেয়া প্রাইস ক্যাপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেয়া নিষেধাজ্ঞার (সর্বোচ্চ মূল্যসীমা) প্রতিক্রিয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে, বছরের শুরুতে দেশটি ৫-৭ শতাংশ উত্তোলন কমাতে পারে। সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয় ৫ ডিসেম্বর।
এছাড়া পরিশোধিত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর প্রাইস ক্যাপ অনুসারে রুশ জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ৬০ ডলার বেঁধে দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় তেলের দাম দ্বিতীয়বারের মতো বার্ষিক লাভের ইঙ্গিত বহন করে, ব্রেন্ট প্রায় ৬ ও ইউএস ক্রুডের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। তবে ২০২৩ সালে বৈশ্বিক মন্দার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিপরীতে আশাবাদকে হ্রাস করছে বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়