বৈরীবল্লম কখন আড়াল বাতাসে ভেসে এসে
ঢুকে গেছে হরিণীর দেহে!
একদা যে মানবিক আলো ফুটেছিলো আকাশ দিগন্তে
সব গাছের পাতায় বিস্মৃতি-ধূসরতায় চিহ্ন তার ক্ষীয়মান!
লোমশ বরফে ঢাকা মনুষ্য বসত
বেরোবো, পা ফেলতেই থমকে যাই বাঁজখাই শীতে!
ধেয়ে আসা ভয়ঙ্কর রাতের তুষার
ত্রস্ত সকাল দুপুর দিনান্তের ¤øানবাঁকে দ্রুত সরে গেছে
মনিনিষ্প্রভ চোখের চৌহদ্দিতে সন্ধ্যার চাপানিঃশ্বাস!
পৃথিবীর সরণিতে জাঁকালো আলোর হিম
তার তলে খাবি খাওয়া লঘুতম বিবর্ণজীবন;
স্বপ্নবিরোধী ঘুম ও লোমশ নির্জ্ঞান-
সমুদ্রকল্লোল আর কথিত বিভা ছাপিয়ে
ভেসে আসে বেকারের বাষ্পরুদ্ধ স্বর
কেন্দ্র-প্রান্ত ঘিরে এক বিকট বাকল, ধাতব অন্ধকারের!
পৃথিবী এখানে তার হারিয়েছে বন্দরের চাবি
কে খোঁজে, গরজ কার? তড়পায় বিচ্ছিন্ন মেঘ!
কোথাও নাবাল জলা; তৈরি হয় বুঝি কলগীত
আকাশ মাতিয়ে কবে তিমিরভাঙা হাঁসের সারি
দৃষ্টিসীমায় পৌঁছুবে, চেয়ে থাকি-
খোলারোদে কেটে যাবে বুনোহিম
মৃত্যুর উদোম বুকে ময়ূরের নাচ; চিরধ্বনি শুনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।