প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

সব নদীবন্দরের সঙ্গে পায়রাকে সংযুক্ত করার সুপারিশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য নদীবন্দরের সঙ্গে পায়রা বন্দরের সংযোগ স্থাপন করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরো বাড়ানোর সুপারিশ করেছে একাদশ জাতীয় সংসদের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে চ্যানেলের নাব্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ড্রেজার সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘটিত বিভিন্ন সমস্যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার সুপারিশ করে কমিটি।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদ ভবনে কমিটির ৫১তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। বৈঠকে অংশ নেন- কমিটি সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এবং এস এম শাহজাদা।
কমিটি মনে করে যানজট নিরসনে নদী পথে পণ্য পরিবহনের কোনো বিকল্প নেই। এ কারণে পায়রা বন্দরের সঙ্গে ঢাকায় মালামাল পরিবহনে সংযুক্ত নদীগুলো খনন করে নাব্য বাড়ানো জরুরি। সেজন্য ড্রেজার মেশিন সংগ্রহ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে কমিটি। এ সময় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নদীর সীমানা চিহ্নিত করে সীমান্তে সংঘটিত সমস্যা মেটাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেয়ার কথাও বলেছে কমিটি।
কমিটি বলেছে, সীমানা চিহ্নিত না থাকায় নদী ব্যবহারকারী, যানবাহনসহ জনগণকে প্রায়ই হয়রানি করে থাকে ভারতীয় নৌবাহিনী। এমনকি ধরে নিয়ে জেলেও দেয়। এটা চলতে দেয়া যায় না।
এদিকে পায়রা বন্দরে আসা-যাওয়ায় নির্মিতব্য প্রশস্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বিমান উঠানামার জন্য রানওয়ে তৈরির বিষয়টি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বিবেচনা করার সুপারিশ করে কমিটি। কমিটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশ স্থল বন্দরে নিজস্ব অর্থায়নে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ফায়ার ইকুইপমেন্ট কেনার কথাও বলেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ স্থলবন্দরগুলোতে কমিটি এনার্জি সেভিং এর উপর গুরুত্বারোপ করে সেখানে সোলার পদ্ধতি ব্যবহার করা এবং সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন সিস্টেম চালু করার সুপারিশ করে কমিটি।
এছাড়াও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠক থেকে ৪৬তম বৈঠক পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন, অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়