কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকার নি¤œ আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যাওয়া আনসার আল ইসলামের সদস্য ঈদী আমিনের তিন আশ্রয়দাতাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন- ঈদী আমিনের বোন খোদেজা আক্তার লিপি, মামা শ্বশুর নাসির মিয়া ফারুক ও তানভীর হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে কোতোয়ালি থানার জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ তাদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতে কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মো. আশ্রাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঈদী আমিনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঈদী আমিনকে রিমান্ডে নিয়ে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর লিপি আক্তারের পূর্ব গোড়ানের বাসায় আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে মামা শ্বশুর নাসির মিয়ার বিজয়নগরের বাসায় যান। এরপর ২৫ নভেম্বর মধ্য বাসাবো এলাকায় তানভীরের বাসায় গিয়ে দুই দিন অবস্থান করেন। ঈদীর এই তিন আশ্রয়দাতা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কিনা জানতে রিমান্ডের প্রয়োজন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর আসামি ঈদী আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিতে আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নি¤œ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসার আল ইসলামের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই রাতেই কারাগারে আটক থাকা ১০ জঙ্গির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া পরে ২৪ নভেম্বর জঙ্গি ছিনতাই ঘটনার প্রধান সমন্বয়ক মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।