প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

ইপিবির তথ্য : ১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি ব্রাজিলে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১১ কোটি ডলারের পণ্য। পাশাপাশি আর্জেন্টিনায় ৯৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অবশ্য ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা উভয় দেশেই বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে। তবে এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার চেয়ে ব্রাজিলের বাজার অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্জেন্টিনার চেয়ে ব্রাজিলে সাড়ে ১১ গুণ বেশি পণ্য রপ্তানি করেছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় ৯৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর ব্রাজিলে রপ্তানি হয়েছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ডলারের পণ্য, যা এর আগের বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছিল ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে যেমন পণ্য রপ্তানি হয়, তেমনি সে দেশ থেকে আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করে, সেগুলোর মধ্যে পরিমাণের দিক থেকে ব্রাজিলের অবস্থান সপ্তম। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্রাজিল থেকে ২৪০ কোটি ডলারের ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টন পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় প্রায় একই ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়, যেমন ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, জুতা, বাচ্চাদের খেলনা, ম্যাট্রেস, চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদি। তবে উভয় দেশে পণ্য রপ্তানির সিংহভাগই তৈরি পোশাক।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, করোনার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্রাজিলে ১০ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। পরের বছর সেটি কমে সাত কোটিতে দাঁড়ায়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে নেইমারদের দেশে।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা। এর বাইরে শীর্ষ ১৫ অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই- সেপ্টেম্বরে দেশটিতে ২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় ২৪০ কোটি টাকা। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান- এক যুগ আগেও ব্রাজিলে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল অনেক কম। তবে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে বিজিএমইএ ব্রাজিলে গিয়ে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে রপ্তানি বেড়েছে। ব্রাজিল এখন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় বাজার।

সর্বশেষ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সে হিসাবে ব্রাজিলে ১০ কোটি ৯২ লাখ ও আর্জেন্টিনায় ৯৫ লাখ ডলারের রপ্তানি খুবই নগণ্য। তারপরও অপ্রচলিত বাজারে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন রপ্তানিকারকেরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়