প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

অসময়ের আশ্বিনা আমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ মাস আগেই শেষ হয়েছে আমের মৌসুম। তবে ব্যতিক্রমী এক পদ্ধতিতে জেলার গোমস্তাপুরে আবদুল করিম নামে এক চাষির বাগানে এখনো ঝুলছে আশ্বিনা জাতের আম। এ আম দেখতে আসছেন অনেকে। বর্তমানে আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪০ টাকা।
সম্প্রতি গোমস্তাপুর উপজেলার শিমুলতলা এলাকায় আবদুল করিমের বাগানে সরজমিনে দেখা যায়, সারি সারি পেয়ারার গাছ। বাতাসে দুলছে হাজারো সুমিষ্ট পেয়ারা। একটু ভেতরে যেতেই চোখে পড়ল আশ্বিনা আমের গাছ। বাতাসে দুলছে আম। আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষি আবদুল করিম।
ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, ১০ বছর থেকে আম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রথমে কয়েক বছর লাভবান হলেও ৫ বছর থেকে লোকসান গুনছি। ফলে আম বাগানের জমিতেই পেয়ারা গাছ রোপণ করেছি। এ পেয়ারা বিক্রি করে ভালোই লাভ পাচ্ছি।
চাষি আবদুল করিম বলেন, যেহেতু বাগানে আমগাছ আছে, তাই মৌসুমে মুকুল আসে। সে সময় এবার আমের মুকুলগুলো ভেঙে দিয়েছিলাম কিন্তু পরিচর্যার কমতি রাখিনি। এবার আগস্ট মাসে হঠাৎ দেখি গাছগুলোতে মুকুল এসেছে। মুকুল দেখে পরিচর্যা আরো বাড়িয়ে দিই। কিছুদিন পরই দেখছি গাছে আম চলে এসেছে। এই আম বড় হয়ে এখন ১০-১২ হাজার টাকা মণ বিক্রি করছি। তিনি আরো বলেন, জেলার খুব অল্প স্থানে এই আশ্বিনা আম আছে। তাই আমাকে এই আম নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। ক্রেতারা বাগানে এসে কিনে নিয়ে যান। আর এক সঙ্গে আম ও পেয়ারার পরিচর্যা করতে পারায় খরচও কিছুটা কম হচ্ছে। আবদুল করিম বলেন, এখন বুঝতে পারছি আশ্বিনা আমের সিজনাল মুকুল ভেঙে দেয়া হলে, এ সময়ে আম আসবে। তাই আমি উদ্যোগ নিয়েছি, আগামী বছর প্রায় ২০ বিঘা জমির আশ্বিনা আমের মুকুল ভেঙে দেব আর এ সময় আম বিক্রি করব।
হাসিব নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন, নভেম্বর মাসে আশ্বিনা আম দেখে অবাক হয়ে গেছি। আমি জানতাম, এ সময় কাটিমন ও বারি-১১ জাতের আম পাওয়া যায়। তবে আশ্বিনা আমও পাওয়া যাচ্ছে শুনে দেখতে এসেছি।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার ভোরের কাগজকে বলেন, উপজেলার কিছু কিছু স্থানে এখনো আশ্বিনা আম পাওয়া যাচ্ছে। আমের সিজনাল সময়ে মুকুল ভেঙে দিয়ে বেশি পরিচর্যা করে এ আম ধরিয়েছেন চাষিরা। এটা উপজেলার জন্য অবশ্যই বাণিজ্যিক সম্ভাবনার। তিনি বলেন, বর্তমানে আমের ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা। তাই এভাবে যদি অসময়ে তারা আম ধরাতে পারেন তাহলে অনেক বেশি লাভবান হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়