কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

ভোমরা স্থলবন্দর : চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১৫২ কোটি টাকা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৫২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ৪০ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। বন্দরসংশ্লিষ্ট ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও চাহিদামতো পণ্য আমদানি করতে না পারার কারণে অব্যাহত রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গিয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৪৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৬৬ কোটি ১৫ লাখ, আগস্টে ৮৪ কোটি ৪১ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ এবং অক্টোবরে ১০০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এর বিপরীতে চার মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৯৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৪ কোটি ৭৪ লাখ, আগস্টে ৫৫ কোটি ২ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৫৪ কোটি ৬০ লাখ এবং অক্টোবরে ৪০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
সূত্রটি আরো জানায়, গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ বন্দরে রাজস্ব আদায় হয় ২৪৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সে হিসাবেও চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৫১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা চলছে। তার ওপর ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদামাফিক পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। ফলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে ব্যবসায়ীদের সব পণ্য আমদানির সুযোগ দিতে হবে। কাগজ-কলমেই শুধু পূর্ণাঙ্গ বন্দর থাকলে হবে না।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল হাসান রাজস্ব ঘাটতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজস্ব আয় মূলত পণ্য আমদানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা চলছে। ব্যবসায়ীরা যদি আমদানি-রপ্তানি বাড়ান তাহলে রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে। তবে চলতি অর্থবছরের কেবল চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখনো সামনে আট মাস আছে। চেষ্টা থাকবে সরকারের বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রা যাতে আদায় হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ভোমরা স্থলবন্দরের জন্য চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭১ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেশি। গত অর্থবছরে সংশোধিত আকারে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়