রিমান্ড শেষে মহিলা দল নেত্রী সুলতানা কারাগারে

আগের সংবাদ

দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না > সোহরাওয়ার্দীর জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী : যারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে

পরের সংবাদ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নবান্ন উৎসব

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ময়মনসিংহের আয়োজনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালায় গত ৪ নভেম্বর দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ‘হেমন্তে নবান্ন উৎসব’। মেঘমুক্ত আকাশের নিচে উত্তরের নাতিশীতোষ্ণ ঝিরিঝিরি হাওয়ায় ঘন বৃক্ষপল্লবিত প্রাঙ্গণে ছায়াঘেরা দৃষ্টিনন্দন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার মুক্তমঞ্চে আনন্দ প্রকাশ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ময়মনসিংহের কর্মীরা। ‘আয়রে আয়রে আয়রে সবে আয়রে আয়/ সোনালি ধানের ইশারাতে/ আয়রে সবে কাস্তে হাতে আয়রে কাটি ধান…’ সমবেত সংগীতের মাধ্যমে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ময়মনসিংহের আহ্বায়ক কবি ফরিদ আহমদ দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয় বেলা ১১টায়। সূচনা বক্তব্যে সভাপতি বলেন, “কৃষি ক্ষেত্রে গ্রামবাংলার কৃষকের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ‘হেমন্তে নবান্ন উৎসব’ অনুষ্ঠান আয়োজন। কৃষকের ভূমিকার কারণেই দেশে আজ ‘মরাকার্তিক’ শব্দটি অকার্যকর হয়ে গেছে। একসময় কার্তিকে কৃষকের থাকত হাহাকার, অনটন; কার্তিকে থাকত অনাহার শস্যশূন্যতা; কিন্তু আজ কার্তিকেও ফসল উঠছে কৃষকের গোলায়; দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ; তাই বাংলার কৃষকের সম্মানে এবার আমরা কার্তিকেই আয়োজন করেছি নবান্ন উৎসব। নবান্ন উৎসব গ্রামবাংলার মানুষের উৎসব; সে আয়োজনের প্রতি সম্মান জানাতে নগরবাসী গ্রামীণ জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজন করতেই পারে নবান্ন উৎসব। এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা বাঙালির আবহমান কালের সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে চাই। বাঙালির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় লাভ। বাংলা ও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই দিনব্যাপী আমাদের এ আয়োজন।” অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ময়মনসিংহের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট এম এ কাশেম, শিল্পী সাইফুল আলম পান্নু, নাট্যজন সাইফুল ইসলাম দুদু, সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল মোত্তালেব লাল এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। উৎসবের আয়োজনে ছিল- স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, গান, নৃত্য, একক অভিনয়, গ্রামীণ খেলা, পুরস্কার বিতরণ এবং মধ্যাহ্নভোজ। সার্বিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জোটের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক নাট্যজন সাইফুল এহসান জহির। আয়োজনের বিভিন্ন পর্ব পরিচালনায় ভূমিকা রাখেন মো. আবুল মনসুর, শামীম আশরাফ, হাসিবুর রহমান তুষার, আবুল কাশেম সরকার, আবৃত্তিশিল্পী দীপশিখা খান, শিল্পী আমিরুল ইসলাম সাগর, মাসুদ করিম, ওমর ফারুক, এস কে রনি, দুলাল উদ্দিন, উজ্জ্বল চৌধুরী, সালেহা সুইটি প্রমুখ। বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কার লাভ করেন মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাশেম, নাট্যজন শফিকুল ইসলাম লিটন, লক্ষণ চন্দ্র ধর, দীপশিখা খান, জ্যোৎস্না বেগম, শরীফুল ইসলাম সরকারসহ ৫০ জন। বিপুলসংখ্যক সংস্কৃতিকর্মী উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন; অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মিডিয়াকর্মীও যোগ দেন। আনন্দমুখর পরিবেশে র‌্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ময়মনসিংহের পক্ষ থেকে জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ এবং সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা-ময়মনসিংহ দেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের কিপার মুকুল দত্ত ও অন্য কর্মীদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দিত করা হয়। দিনব্যাপী নান্দনিক এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ময়মনসিংহের কর্মীদের অভিনন্দন জানাই। সবার বিশ্বাস চমৎকার এ আয়োজনটি মানুষের মনে দীর্ঘদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে।

-সাহিত্য ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়