রিমান্ড শেষে মহিলা দল নেত্রী সুলতানা কারাগারে

আগের সংবাদ

দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না > সোহরাওয়ার্দীর জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী : যারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে

পরের সংবাদ

ইআইএর পূর্বাভাস : জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি কমবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন এডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) আগামী বছরের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চাহিদা কমার প্রতিফলন হিসেবে ওপেক প্লাস এরই মধ্যে উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসন কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ সম্প্রসারণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে।
ইআইএ ২০২৩ সালের জন্য জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দৈনিক ৩ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল কমিয়েছে। চাহিদার পরিমাণ ধরা হয়েছে দৈনিক ১১ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। চলতি বছর চাহিদা প্রবৃদ্ধির হার দৈনিক ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। মোট চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে দৈনিক ২৬ লাখ ব্যারেলে। শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুক শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইআইএ মনে করছে, আগামী বছরের শুরুতেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মজুত আবারো ব্যাপক হারে কমতে শুরু করবে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মজুতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল দৈনিক আট লাখ ব্যারেল। চলতি প্রান্তিকে তা দৈনিক দুই লাখ ব্যারেলে নেমেছে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে মজুত দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল করে কমবে বলে ধারণা ইআইএর। বছরজুড়ে গড়ে দৈনিক তিন লাখ ব্যারেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
চলতি সপ্তাহে বাইডেন প্রশাসন নতুন করে কোনো জ্বালানি উত্তোলন ও এ সংক্রান্ত খনন না করার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির কোম্পানিগুলোকে। অন্যদিকে ওপেক প্লাস উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা আরো কমিয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে জোটটি আগের তুলনায় দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কম জ্বালানি তেল উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওপেকের নেতৃস্থানীয় দেশ সৌদি আরব জানিয়েছে, দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় ২ শতাংশের সমান। দেশটি আরো জানায়, পশ্চিমা দেশগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অব্যাহত সুদের হার বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির গতি ক্রমেই শ্লথ হয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমিয়ে আনা জরুরি ছিল।
সংস্থাটি বলছে, চীনে অর্থনৈতিক মন্দা এবং ওইসিডি দেশগুলোয় অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে পড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা। বছরভিত্তিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি গতি হারাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দৈনিক ৩৫ লাখ ব্যারেলের চাহিদা তৃতীয় প্রান্তিকে এসে দৈনিক ১১ লাখ ব্যারেলে নেমেছে।
এদিকে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল উত্তোলন গড়ে দৈনিক ১ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছবে বলে মনে করছে ইআইএ। আগামী বছর এটি দৈনিক ১ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হতে পারে। তবে চলতি ও আগামী মাসে ওপেকের উত্তোলন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি আগামী বছরও উত্তোলন দৈনিক তিন লাখ ব্যারেল বেড়ে গড়ে দৈনিক ২ কোটি ৮৯ লাখ ব্যারেলে পৌঁছতে পারে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের গড় দাম থাকবে ব্যারেলপ্রতি ৯৫ ডলার ৩৩ সেন্টে। চলতি বছরের একটি বড় সময়জুড়ে বাজার আদর্শটির গড় দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ১০২ ডলার ১৩ সেন্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়