মিরপুর শপিং সেন্টারে এসি বিস্ফোরণে আহত ২

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে জাপায় অস্থিরতা : নিকট অতীতে নেতিবাচক অবস্থান জানালেও হঠাৎ করেই সংবিধান মেনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা

পরের সংবাদ

ঈদে মিলাদুন্নবী : চট্টগ্রামে জশনে জুলুস আয়োজনে বড় প্রস্তুতি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস আয়োজনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল রবিবার সকাল ৯টা থেকে জুলুস শুরু হবে। এ বছর এটি হবে চট্টগ্রামের ৫০তম জুলুস।
নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে এই জুলুস শুরু হবে। তবে এবারের জুলুস শুরু আগে চট্টগ্রামে আয়োজিত জশনে জুলুসকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস’ হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে জুলুস আয়োজনকারী সংস্থা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। আর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিন জুলুস পর্যবেক্ষণ করবেন গিনেজ বুক অফ ওয়াল্ড রেকর্ডের ম্যানেজমেন্ট টিম।
ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের জুলুসে মানুষের সমাগম বাড়ছে। এবারের জুলুসেও বিগত বছরের চেয়ে লোক সমাগম বেশি হবে। এবারের জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্। একইসঙ্গে জুলুসে আরো অংশ নেবেন আল্লামা পীর সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ ও আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ। তিন হুজুরের কারণে এবার জুলুসে অন্তত অর্ধকোটি মানুষের অংশ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, জুলুসের অর্ধশত বর্ষকে ঘিরে নেয়া হয়েছে বাড়তি আয়োজন। গত এক মাস আগে থেকেই জুলুস সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আনজুমানের নিজস্ব সিকিউরিটি ফোর্স ও গাউসিয়া কমিটির অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে।
এদিকে জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দিতে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ তার সফরসঙ্গী সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ ও সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরে তারা মোটর শোভাযাত্রাসহ সেখান থেকে আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় পৌঁছেন।
আগামীকাল সকাল ৮টায় নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে এ জুলুস শুরু হবে।
জুলুস শুরুর পর বিবির হাট থেকে মুরাদপুর হয়ে মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ চকবাজার, কেয়ারি মোড়, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম পাশ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারি (ডানে মোড়), খাস্তগীর স্কুল (ডানে মোড়), শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রোড হয়ে আসকার দিঘী, কাজীর দেউরি (বামে মোড়), আলমাস (বামে মোড়), ওয়াসা (ডানে মোড়), জিইসি, দুই নম্বর গেট হয়ে পুনরায় মুরাদপুর (ডানে মোড়) গিয়ে বিবিরহাট জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে দুপুর ১২টায় মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একই ময়দানে জোহরের নামাজ এবং নামাজ শেষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে বলুয়ারদিঘী খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জুলসটি বের করে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এ জুলুসে নেতৃত্ব দেন পীর সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা.)। ১৯৭৬ সালের পর থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১২ রবিউল আওয়াল চট্টগ্রামের জুলুসের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, যা ক্রমান্বয়ে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দরবার, সংগঠন ও সংস্থাগুলোও আয়োজন করতে শুরু করে। সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহের পর ১৯৮৬ সালের পর থেকে তার সন্তান সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ এ জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়