বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

বৈশ্বিক চালের দাম বাড়াতে সম্মত ভিয়েতনাম-থাইল্যান্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্ববাজারে চালের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। থাইল্যান্ডের কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েক মাসের আলোচনা শেষে দেশ দুটি এ বিষয়ে একমত হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাজারকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের কৃষিবিষয়ক মন্ত্রীর উপদেষ্টা আলঙ্কন পনলাবট এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববাজারে চালের দাম বাড়াতে প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ভিয়েতনামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আলোচনা শুরু হয় এ বছরের মে মাসে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের চালের রপ্তানি মূল্যবৃদ্ধি করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি কৃষকদের আয় বাড়ানো।
মার্কিন কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, বৈশ্বিক চাল উৎপাদনের ১০ শতাংশ এবং রপ্তানির ২৬ শতাংশই আসে দেশ দুটি থেকে। দেশ দুটি রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা কবে থেকে কার্যকর হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে ভারত জানিয়েছে, দেশটিতে এ-সংক্রান্ত আলোচনায় আমন্ত্রণ জানায়নি থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। তাই বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশটির দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
এ ব্যাপারে অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিভি কৃষ্ণ রাও বলেন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম যদি দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তবে আফ্রিকাসহ মূল্যসংবেদনশীল ক্রেতারা ভারতীয় চালের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। পাশাপাশি খরা ও দাবদাহের কারণে ভারতের চাল রফতানি বন্ধ করে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় চালের বৈশ্বিক উৎপাদন ও মজুদ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উৎপাদন কমে গেলে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শস্যটির সরবরাহ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। অন্য শীর্ষ দেশগুলোর অবস্থানও এশিয়ায়। এ অঞ্চলে লম্বা সময় ধরেই প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চাল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতার মুখে কৃষক ও মিলমালিকরা। পৃথিবীজুড়ে এমনিতেই খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় অবস্থান করছে। তার ওপর চালের বাজারে সংকট নেমে এলে তা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। তার ওপর ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড দাম বাড়ালে তা বাজার ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।

ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা জানান, বৈশ্বিক চাল উৎপাদনের ৯০ শতাংশই আসে এশিয়া থেকে। রপ্তানির সিংহভাগ অংশীদারত্বও এ অঞ্চলের। কিন্তু এশিয়ার রপ্তানিকারক দেশগুলোয় প্রচণ্ড গরম, খরা ও শুষ্ক আবহাওয়া চালের উৎপাদনের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে শস্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী চাপের মুখে পড়তে পারে।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের কৃষি বাণিজ্যবিষয়ক অর্থনীতিবিদ ফিন জিবেল বলেন, উন্নয়নশীল এবং স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য বর্তমানে খাদ্যপণ্যের প্রাপ্যতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চালের দাম বাড়লে দেশগুলো আরো বিপাকে পড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়