বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

বেড়েছে আমদানি : হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ১৭ টাকা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমে ১৭ টাকায় নেমেছে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের বাড়তি দামের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। এ কারণেই আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে- গতকাল হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরো ২ টাকা করে কমেছে। একদিন আগেও এ বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৯-২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গতকাল দাম কমে কেজিপ্রতি ১৭-১৮ টাকায় নেমেছে। তবে কিছু ভালো মানের পেঁয়াজ ১৯-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, স¤প্রতি দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় কম দামি পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ডলারের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে। এ কারণে পণ্যটির দাম বেশি ছিল। তবে স¤প্রতি ডলারের দাম কিছুটা কমায় আমদানিকৃত পেঁয়াজেরও দামও কমেছে। তব কেউ কেউ বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজের মান কমে যাচ্ছে। এ কারণে দামে নি¤œমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। আগে বন্দর দিয়ে ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৫-৩০ ট্রাকে উন্নীত হয়েছে। বুধবার বন্দর দিয়ে একদিনেই ৪২টি ট্রাকে ১ হাজার ২৩৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকালও আমদানি অব্যাহত ছিল।
প্রসঙ্গত, ২ মাস বন্ধ থাকার পর জুলাইয়ে আবারো বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত ২৯ মার্চ আইপি মেয়াদ শেষ হলেও দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার ৫ মে পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।
পরে গত ৫ মের পর সরকার দেশের কৃষকের কথা চিন্তা করে নতুন করে আইপি না দেয়ায় দুই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকে। দুই মাস বন্ধের পর দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জুলাইয়ে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ৩৫-৩৬ লাখ টন। এর বিপরীতে ৩০-৩২ লাখ টন উৎপাদিত হয়। গত বছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টন। তবে গরম ও সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ২০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। চাহিদা মেটাতে প্রায় বছরজুড়েই আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। যার সিংহভাগই ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়