ডি-৮ সিসিআই বিজনেস ফোরাম এন্ড এক্সপো শুরু আজ

আগের সংবাদ

জ্বালানি নিয়ে হুলুস্থুল : এক মাসের তেল মজুত, অর্ডার ৬ মাসের > রিজার্ভ কমায় আমাদের ঝুঁকি নেই

পরের সংবাদ

টানা ২ দিন উত্থানে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : টানা ৯ কর্মদিবস ৩১৪ পয়েন্ট পতনের পরে টানা ২ কর্মদিবসে সূচক প্রায় ৬০ পয়েন্ট বেড়েছে পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনে পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পর শুরু হওয়া পতন থেকে পুঁজিবাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এর মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি আরো আতঙ্কিত করে তোলে বিনিয়োগকারীদের।
করোনা মহামারির পরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমা, ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাস এবং পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ তুলে নেয়ার খবর স্থিতিশীল হতে দেয়নি পুঁজিবাজারকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগের সপ্তাহের শেষ তিন কর্মদিবস পতনের পরে গত সপ্তাহের পুরোটাজুড়ে পুঁজিবাজারের পতন ডেকে আনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অঞ্চলভিত্তিক এক ঘণ্টা এবং তাতেও কুলাতে না পারলে দুই ঘণ্টার লোডশেডিং দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান। সরকারের এই সাশ্রয়ী নীতি বিনিয়োগকারীদের আরো ভাবিয়ে তোলে।
দেশের অর্থনৈতিক স্থিতি কি আরো খারাপ দিকে যাচ্ছে- এমন শঙ্কায় সেল প্রেসার বাড়িয়ে দেন তারা। এতে করে গত সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসেই পতন হয় পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে সোমবার ও মঙ্গলবার ধস নামে, সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানির দর পতন দেখা দেয়। ক্রেতা সংকটে ধুঁকতে থাকে পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহের বুধবার ও বৃহস্পতিবার পতন রোধ না হলেও সেই অবস্থার কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে আবারো ফিরে আসে বড় ধস। এরই মধ্যে রোববার থেকে স্টক ডিলারদের বিনিয়োগের ওপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। পুঁজিবাজারে ব্যাপক সেল প্রেসার বাড়িয়ে তারা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা জানায় সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এই সিদ্ধান্তের পরের দিন গত সোমবার শুধু ৩০ পয়েন্ট উত্থানই নয়, তিনশর বেশি কোম্পানির দর পতনের ঘটনার থেকে বেরিয়ে দর বৃদ্ধি দেখা যায়। যেটি মঙ্গলবারেও অব্যাহত রইল। এ দিন প্রায় সমান সংখ্যক কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে। তবে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলের দরবৃদ্ধি সূচকে ৩০ পয়েন্ট যোগ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ১১২ পয়েন্টে। ১৭৭টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৭২টি কোম্পানির শেয়ারদর। আর আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার।
পুঁজিবাজারের চাপ কাটার ইঙ্গিত দিচ্ছে লেনদেন বাড়ার বিষয়টিও। আগের দিনের চেয়ে ১৯৮ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৩৮ কোটি ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। যা গত ১৩ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগে এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৫ জুলাই। ওই দিন হাতবদল হয়েছিল ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের। দিনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ দর বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সামান্য পরিমাণে আয় বেড়েছে কোম্পানির। ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পরে ২০০৯ সাল থেকে বোনাস লভ্যাংশ দিতে শুরু করে কোম্পানি। আর ২০১৪ সাল থেকে নগদ ও বোনাস মিলিয়ে লভ্যাংশ পাচ্ছেন এর বিনিয়োগকারীরা। ৭ জুন থেকে শেয়ারটির দর কমেছে। ওই দিন ৬৫ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি দুই কর্মদিবস বেড়ে গত মঙ্গলবার প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১ টাকা ৭০ পয়সায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে কাট্টালি টেক্সটাইলের। গত দুই বছর ধরে কোম্পানির আয় ব্যাপক হারে কমেছে। ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত লভ্যাংশ দিলেও শেয়ারটির দর ওঠানামা করতে দেখা যায়। গত ফেব্রুয়ারিতেই ৪০ টাকার ওপরে লেনদেন হওয়া শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমে সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে ২৪ টাকা ৫০ পয়সায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়