বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন : এমপি হারুনের নোটিস নাকচ করলেন স্পিকার

আগের সংবাদ

ঢাকার তৃণমূলে আ.লীগের পদ পেলেন ৫৪ হাজার কর্মী : থানা-ওয়ার্ডে পদ পাচ্ছেন আরো সাড়ে ১২ হাজার > সংগঠন গোছাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নগর নেতারা

পরের সংবাদ

ইপিবির প্রতিবেদন : বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়নের ক্লাবে

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই (জুলাই-মে) দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন (৪ হাজার ৭০০ কোটি) ডলারেরও বেশি মূল্যের। অর্থবছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র দুই দিন। চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে শুধু পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩২০ কোটি ডলারের। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি) ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি।
বিভিন্ন পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, জ্বালানি তেল রপ্তানিকারকদের হিসাবে না নিলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ ৫০ রপ্তানিকারক দেশের একটি। এশিয়ায় এ অবস্থান দাঁড়ায় শীর্ষ ২০-এর মধ্যে। এদিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় এখন ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য, যার মধ্যে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি মূল্য ছিল ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ হিসেবে রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৮২ শতাংশই তৈরি পোশাক।
খাতসংশ্লিষ্ট পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সংগঠন বিজিএমইএর হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩২০ কোটি ডলারের। এ পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের মোট রপ্তানি ৫ হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। সার্বিক পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে এ অঙ্ক আরো বাড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া শীর্ষ তিন পণ্য- পোশাক, পাট ও পাটজাত এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানির ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশজুড়েই ছিল পণ্য তিনটি। এ আধিপত্য বজায় রয়েছে চলতি অর্থবছরেও। তবে মোট রপ্তানিতে বড় অবদান রাখা পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে হোম টেক্সটাইল। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস শেষে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, হোম টেক্সটাইল ৪১ দশমিক ৩ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিও বেড়েছে ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পোশাক রপ্তানির অর্থমূল্য ছিল ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির হয়েছিল ২ হাজার ৮৫৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মোট রপ্তানির ৮১ দশমিক ৬৫ শতাংশই ছিল তৈরি পোশাক। হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে হয়েছে ১৪৬ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১০৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে হয়েছে ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৮৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। এ হিসাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এদিকে পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বাড়লেও কমেছে বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাট ও পাটজাত পণ্যের। এ পণ্যের রপ্তানি চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ছিল ১০৫ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১০৮ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে পণ্যটি রপ্তানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বা কমেছে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়