ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন : পণ্যের মান ভোক্তাদের মনে আস্থা তৈরি করে

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পণ্যের মান ও গ্রহণযোগ্যতাই ভোক্তাদের মনে আস্থা তৈরি করে। যার মাধ্যমে বিকশিত হয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ। এ অবস্থায় পণ্য ও সেবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে অ্যাক্রেডিটেশনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ সময় শিল্পমন্ত্রী দেশীয় ল্যাবরেটরিগুলোয় আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের মাধ্যমে পণ্যের সনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতকরণের ওপর জোরারোপ করেন। স্থানীয় পণ্য ও সেবা রপ্তানি স¤প্রসারণে আন্তর্জাতিক সনদ সংস্থাগুলোর সঙ্গে দেশীয় সংস্থার সমন্বয় খুবই জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন এবং এ লক্ষ্যে সরকার একটি কার্যকরী অ্যাক্রেডিটেশন অবকাঠামো ইকো-সিস্টেম নির্মাণে বদ্ধপরিকর।
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘অ্যাক্রেডিটেশন; টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়তা করে’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএবির মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, সনদ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মান ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য স¤প্রসারণে কার্যকরী ভূমিকা রাখা যাবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আমাদের স্থানীয় সনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিতকরণের ওপর জোরারোপ করেন। মন্ত্রী জানান, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাক্রেডিটেশনের ভূমিকা অপরিসীম।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক জলবায়ুতে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও প্রতীয়মান।
এ অবস্থায় তিনি শিল্প উদ্যোক্তাসহ সব স্তরের মানুষকে পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। শিল্প সচিব বলেন, রপ্তানির বাজার স¤প্রসারণে পণ্যের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতকরণ ও যথাযথ অবকাঠামোর কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরো জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশনকে ‘ই-পাসপোর্ট’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
সচিব উল্লেখ করেন, দেশীয় পণ্যের অ্যাক্রেডিটেশন নিজ দেশই সম্পন্ন করা সম্ভব হলে রপ্তানি স¤প্রসারণের পাশাপাশি সময় ও ব্যয় দুটোই হ্রাস করা সম্ভব।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দেশীয় শিল্পপণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি স¤প্রসারণে অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব অপরিসীম।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রায় টেকসই উন্নয়নকে প্রধান্য দেয়া হলেও আমাদের শিল্প খাতের অবকাঠামোর টেকসই উন্নয়ন তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয় না। বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পণ্য যেমন- চামড়া, পাট ও পাট পণ্য, প্লাস্টিক, হিমায়িত খাদ্য প্রভৃতির রপ্তানি আরো স¤প্রসারণের লক্ষ্যে টেকসই ব্যবসায়িক পরিবেশ বাস্তবায়নে সরকার গৃহীত নীতিমালার আশু বাস্তবায়নের ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ পণ্য ও সেবার জন্য সাপ্লাই চেইনের প্রতিটি পর্যায়ে মান নিশ্চিতকরণ আবশ্যক, সেই সঙ্গে নিরাপদ পণ্য এবং সেবা উৎপাদনের জন্য একটি কার্যকর জাতীয় মান অবকাঠামো একান্ত অপরিহার্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়