নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা প্রস্তাব এনপিপির

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’

পরের সংবাদ

বাণিজ্যমেলা প্রতিদিন : করোনা বিধিনিষেধে কমেছে ক্রেতা-দর্শনার্থী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কমছে। সেই সঙ্গে বেচাকেনায় পড়েছে ভাটা। পূর্বাচলের স্থানীয় এবং আশপাশের মানুষ ছাড়া দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। যে কারণে অনেকটা অলস সময় পার করছেন দোকানিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাণিজ্যমেলার নতুন ভেন্যু রাজধানী থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সাধারণত ছুটির দিন ছাড়া ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি থাকে অনেক কম। মেলার আশপাশের এলাকার অর্থাৎ রূপগঞ্জ এবং গাজীপুরের স্থানীয় লোকজনের আনাগোনা ছিল বেশি। তবে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মেলায় উপস্থিতিতেও ভাটা পড়েছে। এবারের বাণিজ্যমেলায় মানুষ কেনাকাটা করছে কম, ঘুরছে বেশি। তারপরও যারা কিনছেন তাদের আগ্রহ ইলেকট্রনিক্স, খাবার, রান্নার তৈজসপত্র আর গৃহস্থালির সৌখিন পণ্যে। নতুন ভেন্যুতে যাতায়াতে এখনো অভ্যস্ত নয় দর্শনার্থীদের বড় অংশ।
দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা বলছেন, বাণিজ্যমেলায় পণ্য দেখে গিয়ে বাসার কাছে শোরুমে অর্ডার করছেন সবাই। সাড়া মিলছে অনলাইনেও। তাই মেলা নিয়ে হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই দেশীয় উদ্যোক্তাদের। বাণিজ্যমেলা মানেই জনসমাগম। ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। এসব মানুষের মধ্যে ক্রেতা থাকেন, আবার কেউ আসেন নিছক ঘুরতে। তবে এবার নতুন আয়োজনে ক্রেতার আনাগোনা কম। আশপাশের এলাকা অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, গাজীপুর কিংবা রাজধানীর কুড়িল, ভাটারা থেকে যারা আসছেন, তাদের অনেকের কাছে বাণিজ্যমেলা নতুন। তারা পণ্য দেখছেন বেশি তবে কিনছেন কম। আবার শেরেবাংলা নগরের নিয়মিত ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন নতুন অফারের। বিদেশিদের ভাবনা কোভিড নিয়ে। তবে পূর্বাচলে যাতায়াত নিয়ে দুর্ভোগের কথা বলছেন প্রায় সবাই।
বাণিজ্যমেলায় কথা হয় রাজধানীর যাত্রবাড়ী থেকে আসা গৃহিণী নার্গিস রিংকুর সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, পূর্বাচলে আসা অনেক কষ্টকর। এছাড়া নিজস্ব পরিবহন ছাড়া মেলায় মুভমেন্ট করাটাও ঝামেলা। তবে মেলায় অনেক অফার দিচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো। এখানে অনেক পণ্য পছন্দ হয়েছে। বাসার পাশাপাশি কোনো শোরুম থেকে অর্ডার করে নেব। এছাড়া যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে মেলায় আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে বলেও জানান এই দর্শনার্থী।
পরিসর কমায় এবার পর্যাপ্ত পণ্য মেলায় সাজাতে পারেনি দেশীয় ব্র্যান্ড। তারা বলছেন, স্টল ও প্যাভিলিয়নে এসে পণ্য দেখে শোরুমে অর্ডার দিচ্ছেন ক্রেতাদের অনেকেই। সাড়া মিলছে অনলাইনেও। তাই মেলায় মোটা দাগে হাতে বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালিপণ্য ও খাবার বেচাকেনা হচ্ছে বেশি। এসব কারণে কোভিডের সংক্রমণ বাড়লেও মেলা বন্ধ হচ্ছে না। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে বাণিজ্যমেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মেলায় রাজধানীর মিরপুর থেকে সপরিবারে এসেছেন ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন। এবারের মেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বছর শেরেবাংলা নগরে মেলা হওয়ায় মিরপুরবাসীর জন্য সুবিধা ছিল। তবে অসুবিধাও ছিল অনেক। রাস্তাঘাটে তীব্র যানজট লেগেই থাকত। তবে এবারের মেলার ভেন্যু অনেক সুন্দর কিন্তু রাজধানী থেকে অনেক দূরে। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেকে সপরিবারে আসতে পারেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়