হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার : উত্থান-পতনে বছর শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে বছর শুরু করেছে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার। একদিকে যেমন রয়েছে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরো জোরদার হওয়ার আশা, ঠিক তেমনি করোনা মহামারির নতুন ঢেউ জন্ম দিয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার। বাজার পরিস্থিতি যখন সম্ভাবনা ও আশঙ্কার মাঝামাঝি পর্যায়ে আটকে আছে, তখন নির্দিষ্ট কিছু পণ্য ভিন্ন পথে এগোচ্ছে। বছরের প্রথম কয়েক দিনের বাণিজ্যে এসব পণ্যের একটির ওপর অন্যটির ব্যাপক নির্ভরশীলতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
তথ্য বলছে, জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের মিত্র জোট ওপেক প্লাস চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক ৪ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এরপরও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ৮০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেক প্লাসের উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অটল থাকার ঘোষণায় জ্বালানি তেলের দাম কমার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ঘটছে তার উল্টো ঘটনা। কারণ সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বৃদ্ধির হার বেশি। তার ওপর জোটভুক্ত অনেক দেশ বেঁধে দেয়া কোটা অনুযায়ী জ্বালানি তেল উত্তোলনে ব্যর্থ হচ্ছে। এটিও মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। চলতি বছর কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়, জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি উদ্বৃত্তের পথে হাঁটছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, চাহিদা প্রত্যাশা কত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে, অথবা ওমিক্রন এ প্রত্যাশায় নতুন করে বাধার সৃষ্টি করবে কিনা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ওপেক প্লাসের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে আসন্ন মাসগুলোয় উত্তোলন বাড়বে নাকি কমবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর জ্বালানি পণ্যের বাজার ওঠা-নামা নির্ভর করছে।
এদিকে ২০২১ সালে স্বর্ণের দাম ছিল আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম। তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পণ্যটির বাজার ছিল নি¤œমুখী। বিনিয়োগ চাহিদা কমে যাওয়া এতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। নতুন বছরেও ধাতুটির বাজারে প্রতিকূলতা অব্যাহত থাকবে। প্রতি আউন্সের দাম ১ হাজার ৮০০ ডলারের গণ্ডি ছুঁতে পারবে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিনিয়োগ চাহিদা বাড়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে খাতসংশ্লিষ্টদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়