ড. হাছান মাহমুদ : যুক্তরাষ্ট্রেই চরম লঙ্ঘন হয়ে থাকে মানবাধিকারের

আগের সংবাদ

শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গন : একুশে পদকপ্রাপ্তদের মহাকালের সম্মাননা

পরের সংবাদ

বিজিএমইএ সভাপতি : ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ দেখছি না কোনো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা মহামারি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পোশাক খাত। এর মধ্যেই করোনার নতুন ধরন চোখ রাঙাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো, আতঙ্কিত হওয়ার মতো দেখছি না। বিগত দিনেও আমরা করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। নিয়ন্ত্রণে আনতেও সক্ষম হয়েছি। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন হানা দিলেও পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামাল দেয়া যাবে বলে জানান তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তবে সরকারকেও এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে জানিয়ে ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, ওমিক্রন যেভাবে হানা দিচ্ছে তাতে ক্রেতা দেশগুলোর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সেখানে লকডাউন চললে আমদানি রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে দেশীয় শিল্প ও কর্মীদের রক্ষায় ১৭ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারলে আমরা ওমিক্রন মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
ফারুক হাসান বলেন, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ফ্রান্সসহ প্রায় সব ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন তবে মনে করি সঠিকভাবে তদারকি করলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের অনেক ভালো ক্রয়াদেশ রয়েছে। এগুলো আমরা সঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে চাই। সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দিতে চাই। এজন্য সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করছি, চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের জটিলতাগুলো যেন দ্রুত সমাধান করা হয়। কাস্টমস যত জটিলতা সৃষ্টি করবে, আমাদের পণ্য ডেলিভারিতে তত সময় নষ্ট হবে। এজন্য সরকারের থেকে আরো অনেক বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, বহির্বিশ্বে বিশেষ করে ইউকেতে ভিসা বন্ধ করে দিলে বা ভারতে ভিসা বন্ধ করে দেয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তাতে কিছুটা হতে সমস্যায় পড়ব, তবে লকডাউনের মধ্যে কিভাবে কারখানা চালানো যায়, কিভাবে ক্রয়াদেশ নেয়া যায়- বিষয়গুলো সম্পর্কে গত দুই বছরে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আশা করছি গত বছরের চেয়ে অনেক ভালোভাবেই বিষয়গুলো সমাধান করতে পারব।
ফারুক হাসান আরো বলেন, কোনো কারখানায় যদি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদির বিল বাকি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে যেন লাইন কেটে না দেয়া হয়। পোশাক মালিকরা অনেক সময় হয়তো অর্ডার নিয়ে আটকে যায়। সেক্ষেত্রে বিল পরিশোধে কিছুটা সময় লেগে যায়। কারণ আমরা শ্রমিকদের বেতন আগে দেয়ার চেষ্টা করি। তাই এ বিষয়ে যেন সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আরেকটু নমনীয় আচরণ করে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়