পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনায় মামলা : আসামি অজ্ঞাত কয়েক হাজার

আগের সংবাদ

‘ওমিক্রন’ নিয়ে সতর্ক সরকার

পরের সংবাদ

সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার পর্যালোচনা : ১৫ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগের সপ্তাহে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ফিরলেও বিদায়ী সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসই পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এতে করে বাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৭ হাজার ৫৬২ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৮ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১৪ হাজার ৯৮১ কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৪ টাকা বা ২.৬৭ শতাংশ বাজার মূলধন হারিয়েছেন। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ৩০৬ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার ১৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৬৮৬ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৭১ টাকা বা সাড়ে ১০ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩৯.৭৩ পয়েন্ট বা ৩.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৫৩.০৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৭.৯৫ পয়েন্ট বা ২.৫৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯২.০৮ পয়েন্ট বা ৩.৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪৪২.৩৮ পয়েন্ট ও ২ হাজার ৬০২.৮৭ পয়েন্টে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির বা ১২.৮৯ শতাংশের, কমেছে ৩১৩টির বা ৮২.৩৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৪.৭৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৬১ কোটি ৯২ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫২ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৯ কোটি ৮০ লাখ ৬৮ হাজার ৯০ টাকা বা ৪ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৬৫ পয়েন্ট বা ৩.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৮.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৩৯৯.৫৪ পয়েন্ট বা ৩.২০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪৩২.৫১ পয়েন্ট বা ২.৯৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৫০.৮৭ পয়েন্ট বা ৩.২৩ শতাংশ এবং সিএসআই ৩১.৮৫ পয়েন্ট বা ২.৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬০.২৬, ১৪ হাজার ১১৩.৪৮ ও ১ হাজার ৫২৫.৭৮ পয়েন্টে এবং সিএসআই ১ হাজার ২২৮.১৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৫টির বা ১৬.২২ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৭০টির বা ৭৯.৬৫ শতাংশের কমেছে এবং ১৪টির বা ৪.১৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পিই রেশিও কমেছে : সমাপ্ত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৭৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৫৭ পয়েন্ট বা ৩.০৪ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.৬৫ পয়েন্টে।
এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৬.৪৪ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৩.৯৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭.৩১ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩.৪২ পয়েন্টে, বিমা খাতের ২১.৫৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১৪.৫৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৬৫.১৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৩০ শতাংশ, চামড়া খাতের ৪১.৮৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৫৮.২৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৭.৪৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের (-) ১৩০৬.০৭ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫১.৬৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.১৩ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২২.২৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৯৪.১৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩২.৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়