কাগজ প্রতিবেদক : বতর্মান পরিস্থিতি বিবেচনায় পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো ও কর্মক্ষেত্রে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়াসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে গতকাল বুধবার আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে এ দাবি জানানো হয়। গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজক আইবিসি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইবিসির সভাপতি মীর আবুল কালাম আসাদ, সদস্য আমিনুল হক আমিন, জেড এম কামরুল আনাম, কুতুবউদ্দিন প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠকে বলা হয়, করোনার সময় বিধিনিষেধের মধ্যেও তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। তা সত্ত্বেও শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। মজুরি কর্তনসহ শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পোশাক শ্রমিকরা অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।
গোলটেবিল বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইবিসির নির্বাহী সদস্য সালাউদ্দিন স্বপন। তিনি বলেন, করোনাকালে বিধিনিষেধের মধ্যেই পোশাক শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনের চাকা সচল রাখেন। তারা দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে সাহায্য করেন। অন্যদিকে মালিকরা করোনা পরিস্থিতির সুযোগে শ্রমিক ছাঁটাই, মজুরি কর্তন, শ্রমিক সংগঠিতকরণ, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনে বাধাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও আইনবহির্ভূত কার্যকলাপ করেন।
সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে পোশাক শ্রমিকরা এখন অসহায়। তারা মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থা গার্মেন্টস কারখানার মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেন।
গোলটেবিল বৈঠকে আইবিসির পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর হচ্ছে- সব ধরনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বাধা দূর করে ট্রেড ইউনিয়ন করা ও নিবন্ধনের অধিকার নিশ্চিতকরণ, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য সোশ্যাল সেফটি নেট গড়ে তোলা, পোশাকশিল্প অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন-হয়রানি বন্ধ করা, পক্ষপাতমূলক শিল্প পুলিশকে অবিলম্বে বিলুপ্ত করা, তৈরি পোশাক খাতে আবারো মজুরি হার ঘোষণা, ৪টি পোশাকশিল্প অঞ্চলে শ্রমিকদের জন্য আড়াই’শ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, শ্রম আইনবিধিতে থাকা আইএলও কনভেনশনবিরোধী সব ধারা বাতিল করা।