‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

পছন্দের শীর্ষে হামিদ ফেব্রিক্স

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সমাপ্ত সপ্তাজুড়ে দেশের পুঁজিবাজার এক ধরনের মন্দার মধ্য দিয়ে পার করলেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে হামিদ ফেব্রিক্স। গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষে ছিল কোম্পানিটির শেয়ার। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে বস্ত্রখাতের এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।
গত সপ্তাহে হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য ঘোষণা করা লভ্যাংশ। ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এ লভ্যাংশের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ফলে এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। ফলে একদিনেই কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৬৭ দশমিক ২১ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার পর শেয়ারের এমন দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ডিএসইর একাধিক সদস্য বলেন, ভালো লভ্যাংশ ঘোষণার পরও বর্তমান বাজারে অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।
সেখানে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা একটি কোম্পানির শেয়ার দাম ৬৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়া সন্দেহর সৃষ্টি করে। কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের এ দাম বাড়ানো হয়েছে কি না নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।
এদিকে শেয়ার দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৫৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০১৪ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়