টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল পাঁচ অধিনায়ক : তাইফ রহমান রাফি

আগের সংবাদ

সড়কে নেই ‘ডিজিটাল’ ছোঁয়া

পরের সংবাদ

নজর দেয়া হচ্ছে তথ্য গরমিলে : পাসপোর্ট সেবা পেতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : করোনা মহামারির মধ্যেও পাসপোর্টের সেবা নিশ্চিত করতে প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকটা ঝামেলা ছাড়াই আবেদনকারীরা নির্বিঘেœ তাদের পাসপোর্ট জমা ও উত্তোলন করছেন। সরজমিন গতকাল দেখা গেছে, আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে তিন হাজারের অধিক পাসপোর্ট আবেদনকারীরা জমা দিতে আসেন। তাদের আবেদনে দেয়া তথ্য নির্ভুল থাকলে ঝামেলা ছাড়াই তা জমা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে আবেদন ফরমে নানা ধরনের ঘাটতি থাকে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহারিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা নির্বিঘেœ পাসপোর্ট সেবা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আবেদনকারীদের মধ্যে সচেতনা বাড়লে আমাদের সেবা দিতেও সুবিধা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, একজন অপ্রাপ্ত বয়স্কের জন্মসনদ ও একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র- এ দুইয়ের মধ্যে মিল রেখে আবেদন জমা দিলে তিনি সময়মতো অবশ্যই কাক্সিক্ষত সেবা পাবেন। এসব সমস্যা ও তার সমাধান কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান ভোরের কাগজকে জানান, এমআরপির মেয়াদ শেষে যারা ই-পাসপোর্ট করতে আসছেন তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে তাদের পূর্বের দেয়া পাসপোর্টের তথ্যের গরমিল থাকলে আমাদের যে অটো-সফটওয়ার রয়েছে সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকা পড়ে যাচ্ছে। আবার দেখা গেছে, অনেকে এমআরপি পাসপোর্ট করেছেন জন্ম সনদে এক বয়স দিয়ে। পরবর্তী সময়ে ওই একই ব্যক্তি আবার পাসপোর্ট করতে এসেছেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রে দেয়া তথ্যানুযায়ী সেখানে বয়সের ব্যবধান রয়েছে।
ফলে দেখা গেছে, জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্রে নিজের নাম, মায়ের নাম, বাবার ও জন্মতারিখ ভিন্ন। এই সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের অফিসে আবেদনকারী ভিড় করছে। এসব সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, আবেদনকারীর নিজের সঠিক নাম, বয়স, বাবা ও মায়ের নাম আবেদনে থাকলে তাকে পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। উপরন্তু আমাদেরও তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাশাপাশি আমাদের সেবার গতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস ঢাকার পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, অনেক আবেদনকারী তার নিজ জেলার স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে ঢাকার ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদন জমা দেন। ফলে ওই ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ তাকে না পেয়ে বিপক্ষে প্রতিবেদন দেন। পরে ওই আবেদনকারী এসে ভিড় জমান ও আমাদের কাছে।
ভোরের কাগজের অনুসন্ধানে এর সত্যতা খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আবেদন জমা দিতে আসা মর্জিনা বেগমের ঝামেলা। ঝামেলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার আগের পাসপোর্টে নাম ছিল রহিমা বেগম, বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্রে আমার নাম মোমেনা বেগম। আমি এখন পাসপোর্ট পেতে চাই মর্জিনা বেগম নামে। মর্জিনা বেগম নামে আপনাকে তো পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট দিতে পারবে না। তার কারণ আপনার তো আগের পাসপোর্টে নাম ছিল রহিমা বেগম, আর জাতীয় পরিচয় পত্রে আপনার নাম মোমেনা বেগম। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এত সব বুঝি না আমার পাসপোর্ট চাই। প্রতিদিনই রহিমাদের মতো শত শত আবেদনকারী আগারগাঁওয়ে এসে ভিড় করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়